সব সূত্রই নির্ভরযোগ্য নয়: বাংলাদেশ নিয়ে ‘ঘোস্ট রাইটারদের’ প্রশ্নবিদ্ধ বয়ান
Published: 27th, March 2025 GMT
মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সুদহার চড়েছে ১২ শতাংশের ওপর। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে থাকা বাংলাদেশিরা সামনে একটা কঠিন প্রশ্ন তুলতে পারে—কীভাবে টানাপোড়েনে থাকা একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের মেয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর কীভাবে ‘ফার্ম হাউসে’ নিশ্চিন্তে থাকেন?
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টে (আইপিডি) গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি লেখার শুরু হয়েছে এভাবে। যার লেখকের নাম টিম লারকিন। কিন্তু এই টিম লারকিন বাস্তবে আছেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তথ্যব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিসল্যাব এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছে।
ডিসমিসল্যাবের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিডির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশবিষয়ক যেসব লেখা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত ১০টি নিবন্ধ এমন লেখকদের নামে প্রকাশ করা হয়েছে, যাঁদের কোনো সত্যিকার পরিচয় পাওয়া যায় না। ঘোস্ট রাইটার বা ছায়া লেখকদের নামে প্রকাশিত এসব নিবন্ধে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের নানা সমালোচনা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন আইপিডি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত। আইপিডি বৈশ্বিক ঘটনা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করে আসছে।
ডিসমিসল্যাব বলছে, বাংলাদেশ বিষয়ে আইপিডিতে সম্প্রতি প্রকাশিত ১০টি নিবন্ধের লেখকদের শনাক্ত করা যায় বা যোগাযোগ করা যায়—এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে। কোনো কোনো লেখকের প্রোফাইল ছবি নেওয়া হয়েছে ‘সাটারস্টক’, ‘ফ্রিপিক’ ওয়েবসাইট থেকে।
আইপিডিতে প্রকাশিত এমন দুটি নিবন্ধ যাচাই–বাছাই ছাড়াই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিসমিসল্যাব বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ কেউ কেউ এসব লেখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রচারের বিশেষ লক্ষ্য ছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করতে গত মার্চে আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য সফর করেন। এই সফরের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে কমপক্ষে তিনটি নিবন্ধ লেখা হয় তাঁর ব্যাংক পরিচালনা নীতির সমালোচনা, তাঁর মেয়ের ‘বিলাসী জীবন’ ও তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাজ্যের কর ও দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে গত মার্চে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের আগে কয়েকটি মেইল পান। যেখানে তাঁর মেয়ের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা আইপিডির নিবন্ধের লিংক যুক্ত ছিল। ধারণা করা হয়, এসব মেইল একজন সাংবাদিক এবং যুক্তরাজ্যের একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের পাঠানো। গার্ডিয়ান কথিত সেই সাংবাদিকের খোঁজ পায়নি। আর জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা কার পক্ষ থেকে এই কাজ করেছে, তা প্রকাশ করবে না।
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব ভুল তথ্য ও অপপ্রচারকে কোনো ধরনের যাচাই–বাছাই করা ছাড়া প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে আইপিডির সম্পাদকীয় তদারকিতে বড়সড় ঘাটতির বিষয়টি অনুসন্ধানে স্পষ্ট হয়েছে। তারা কী ধরনের লেখা প্রকাশ করে, সেটা পরীক্ষা করতে ডিসমিসল্যাব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি দুটি লেখা আইপিডির কাছে পাঠায়। একটি ছিল সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিয়ে ইতিবাচক লেখা, অন্যটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে লেখা। এসব লেখার জন্য ডিসমিসল্যাব ভুয়া লেখকের প্রোফাইল বানায়। এ দুটি লেখাতেই ভুল তথ্য দেওয়া ছিল, যা ফ্যাক্টচেকে ভুল প্রমাণিত। আইপিডি জাতিসংঘের তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে লেখাটি ছাপলেও এনসিপি নিয়ে লেখাটি ছাপেনি।
ভুতুড়ে বিশেষজ্ঞ
ডিসমিসল্যাব বলছে, তারা আইপিডিতে প্রকাশিত ১০টি নিবন্ধের লেখকদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে। এসব নিবন্ধের সঙ্গে দেওয়া লেখকের ছবি আসল কি না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের উপস্থিতি আছে কি না, অনলাইনে এসব লেখকের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কি না অথবা তাদের ওয়েবসাইট, যোগাযোগের নম্বর বা ই–মেইল—এসব খুঁজে পেতে অনলাইনে সেই অনুসন্ধান চালানো হয়। ১০ জন লেখকের মধ্যে ৮ জন লেখক সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটে তাদের কোনো উপস্থিতি নেই। তাদের নিবন্ধে লেখকের যে ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো নেওয়া হয়েছে ‘সাটারস্টক’ ও ‘ফ্রিপিক’ থেকে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো ধরনের মাধ্যমের খোঁজ পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।
লেখা প্রকাশে আইপিডির সম্পাদকীয় তদারকির বিষয়ে জানতে ডিসমিসল্যাবের পক্ষ থেকে ই–মেইলে যোগাযোগ করা হয় আইপিডির প্রধান সম্পাদক জন লাইম্যানের সঙ্গে। তিনি বলেন, লেখকদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্কের ভিত্তিতে তাঁরা লেখা ছাপেন। প্রায় তিন হাজার প্রদায়ক লেখেন তাঁদের ম্যাগাজিনে। তিনি স্বীকার করেন, হয়তো এর মধ্যে কিছু ভুয়া লেখকের লেখাও প্রকাশিত হয়ে গেছে। লাইম্যান বলেন, কিছু লেখক মাঝেমধ্যে তাদের নাম ঊহ্য রাখার অনুরোধ করলে তাঁরা সেটা করেন। কিন্তু লেখা প্রকাশের আগে লেখকদের ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখেন কি না, সেটা তিনি স্পষ্ট করেননি।
আইডিপি যে শুধু ভুয়া লেখকদের লেখা ছাপে তা নয়, এই ম্যাগাজিনে অনেক শক্তিশালী প্রোফাইলের লেখকদের লেখাও ছাপা হয়। যেমন জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের আগেই বাংলাদেশ নিয়ে অন্তত পাঁচটি নিবন্ধ তারা প্রকাশ করেছে, যেগুলোর লেখকদের সত্যিকারের পরিচয় ছিল। এসব নিবন্ধে বাংলাদেশের ইতিহাস, আঞ্চলিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
তবে তাদের সম্পাদকীয় তদারকির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যে কেউ অপতথ্য ও ভুল তথ্যসমৃদ্ধ লেখা প্রকাশ করে নিতে পারে।
জানতে চাইলে ডিজিটালি রাইট–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব বিদেশি ওয়েবসাইটই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই যুগে কোথাও কোনো লেখা পেলেই এবং সেটি আপনার ধারণা বা বিশ্বাসের সঙ্গে মিলে গেলেই তা পুনঃপ্রকাশ করে ফেলা ঝুঁকিপূর্ণ।’ তাঁর মতে, প্রকাশের আগে লেখকের যোগ্যতা, তথ্যের সত্যতা এবং সেই ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে হয়। নয়তো সংবাদমাধ্যমও ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় একটি মিথ্যা প্রচারণার অংশ হয়ে যায়। এভাবে অপপ্রচারও অনলাইনে স্থায়ী হয়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল খকদ র ন বন ধ র আইপ ড র
এছাড়াও পড়ুন:
দহন থেকে জংলি
‘আমি নিয়মিত অনেক চিত্রনাট্য পাচ্ছি। নিয়মিত সেসব সিনেমা করলে প্রচুর টাকা কামাতে পারব। ফিন্যান্সিয়ালি জায়গাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দর্শক আমাকে যেভাবে দেখতে চাচ্ছেন, তেমন গল্প পাচ্ছি না। দর্শক-প্রত্যাশার চেয়ে ভালো কিছু দিতে চাই। যখন সামগ্রিক চিন্তা করি, তখন ভাবতে হয় আমি কতটা আয় করলাম তার চেয়েও দর্শকের সামনে কীভাবে আসছি, সেটি মুখ্য। এটি একটি প্যাকেজ। মাঝে একটি-দুটি গল্প পছন্দ হয়। সেসব টিমের যে অবস্থা, বাজেট সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে ভালো গল্প তুলে আনা কঠিন হবে। তখন আমি না করে দিই। আমি চাইছি নিজের মতো করে কাজ করতে। জীবনে অনেক সিনেমা করতে হবে, এমন চিন্তা নেই। আমার মতো করে অল্প কিছু কাজ করে যেতে চাই।’ বলছিলেন সিয়াম আহমেদ।
গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম আহমেদ অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। যে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নায়কের আবেগ ও পরিশ্রমের দীর্ঘ গল্প। সিনেমাটি করতে একচুলও ছাড় দেননি সিয়াম। ফলাফল হিসেবে পেয়েছেন দর্শকের অবারিত ভালোবাসা। জংলি মুক্তির পর তাই গল্পটি হয়ে উঠেছে সবার। দর্শকরা হলে গিয়ে কেঁদেছেন, গল্পে বুঁদ হয়ে থেকেছেন। করেছেন সিয়াম ও তাঁর টিমের প্রশংসা।
সিয়াম বললেন, ‘এ সিনেমায় আমি দীর্ঘ সময় দিয়েছি। সিনেমার জন্য চুলদাড়ি বড় করেছি। একটি সিনেমার জন্য আমার পাগলামি নিয়ে মা-বাবার মনে হয়তো প্রশ্ন ছিল, ছেলেটি চুল-দাড়ি বড় করে কী করছে? কী করেছি, এটি তো তাদের বোঝানো যায় না। তবে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, সিনেমাটি মুক্তির পরে গল্পটি তাদের টাচ করবে। কারণ, গল্পটিই এমন, এটি প্রথম যদি কাউকে টাচ করে, সেটি সন্তানের মা-বাবাদের। যে কারণে তাদের একসঙ্গে হলে নিয়ে কাছ থেকে অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত মা-বাবার কাছ থেকে সেরা ফিডব্যাক পেয়েছি। বাবা-মেয়ের গল্পটি দেখে তারা ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু আমার বাবা-মা নন, অন্য মা-বাবাদের কাছেও গল্পটি নিজেদের হয়ে উঠেছে। তারা সিনেমাটি দেখে কেঁদেছেন। হল রিঅ্যাকশনের সেসব ভিডিও সবাই দেখেছেন। সব মিলিয়ে আমরা সফল। আমাদের জংলি সফল।’
মুক্তির পর থেকে ‘জংলি’ সিনেমার এগিয়ে যাওয়ার গ্রাফ দেখলে শুধু দর্শকের ভালোবাসায় সফল নয়, ব্যবসায়িকভাবেও সিনেমাটি যে সফল তার চিত্র বিদ্যমান। মাত্র ৮টি শো দিয়ে শুরু হওয়া সিনেমাটি ঈদের এতদিন পরও মাল্টিপ্লেক্সে ত্রিশটির মতো শো নিয়ে দাপিয়ে চলছে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও জংলি হয়ে উঠেছে দর্শকদের সিনেমা।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জানিয়েছেন, জংলি প্রায় ছয় কোটির (গ্রস) ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
ঈদে মুক্তির পর থেকে ক্রমশ দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘জংলি’। এমনকি, দেশের সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে কানাডা, আমেরিকা ও ইউকে’র ৪০টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘জংলি’। গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর পরিবেশনায়, ঈদের সিনেমাগুলোর মধ্যে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি থিয়েটারে একযোগে মুক্তি পেয়েছে এ সিনেমাটি। কানাডা ও আমেরিকার বক্স অফিসে প্রথম ৩ দিনের গ্রস ৩৫,০০০ ডলার আয় করে শুভসূচনা করেছে ‘জংলি’।
ঈদে আরও অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে জংলি বিশেষ হয়ে উঠেছে কেবল বাবা-মেয়ের গল্পের কারণে। সঙ্গে সিয়ামের নজরকাড়া অভিনয়। নৈঋতার পাখি হয়ে ওঠার দারুণ চেষ্টা। দিমিত্রি থে স্টোনহার্ট নামে এক মনীষী বলেছেন, ‘একজন বাবা বলেন না যে তিনি তোমাকে ভালোবাসেন; বরং তিনি দেখিয়ে দেন যে, তিনি তোমাকে ভালোবাসেন’ জংলি সিনেমায় সিয়াম সেটি বোঝাতে পেরেছেন। ফলে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে সবার।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন– ‘পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে, কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।’
সিয়াম তাঁর জীবনের সেই দৈত্যকে জাগাতে পেরেছেন। পেরেছেন বলেই হয়তো আজ তিনি সাধারণ সিয়াম থেকে নায়ক সিয়াম হয়ে উঠেছেন। সিয়ামের যাত্রাটা শুরু বেশ আগে হলেও পুরোপুরি শুরু হয় ‘দহন’ সিনেমার মাধ্যমে। রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিনেমাটির মাধ্যমে সিয়াম নাটক থেকে পুরোপুরি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে ওঠেন। সে যাত্রা এখনও চলছে। প্রথম সিনেমায় যে সিয়ামকে সবাই দেখেছেন, জংলির সেই সিয়াম যেন আকাশ-পাতাল। তখন সিয়াম ছিলেন তরুণ, এই সিয়াম এখন বাবা। পর্দায় ও বাস্তবে দুই জায়গাতে দারুণ এক বাবা হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে আগামী পরিকল্পনা কী? প্রশ্ন রাখলে নায়ক বলেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাই। যারা আমার আগের কাজ দেখেছেন, তারা যেন বলেন, আগের কাজকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছি। আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন।’