ট্রাম্পের আমলে এশিয়াকে টিকতে হলে যা করতে হবে
Published: 28th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে এশিয়ায় অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের সুবিধাবাদী কূটনীতি, সুরক্ষাবাদী বাণিজ্যনীতি এবং অনিশ্চিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো দেশ এককভাবে তেমন কিছু করতে পারবে না। তবে এশিয়া যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে।
এই চ্যালেঞ্জগুলো বেশ কঠিন। দীর্ঘদিনের মিত্রদের প্রতি ট্রাম্পের ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং ভয় দেখানোর কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের বহু পুরোনো নিরাপত্তা অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অথচ এই বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক এশীয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও বিপজ্জনক হলো, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলো, যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন এবং কৌশলগত সহযোগী তাইওয়ান এ কারণে শঙ্কিত যে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতা করে তাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারেন।
এদিকে ট্রাম্পের বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের আগ্রাসী প্রচেষ্টা (যার অংশ হিসেবে তিনি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনে চাপ দিচ্ছেন) বৈশ্বিক বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এতে চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আসিয়ান দেশগুলোর মতো যেসব এশীয় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রাখে, তাদের প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
মুদ্রার মূল্যহ্রাস হয়তো শুল্কের কিছুটা প্রভাব কমাতে পারে। কিন্তু যদি ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিই ডলার দুর্বল করার পদক্ষেপ নেয়, তাহলে উদ্বৃত্ত রাখা দেশগুলোর এই সামান্য স্বস্তিও থাকবে না এবং তাদের বাণিজ্য ভারসাম্য আরও খারাপ হবে। কেউ কেউ হয়তো পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ভাবতে পারে, কিন্তু এতে তাদের রপ্তানিনির্ভর শিল্পগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এশীয় দেশগুলো এককভাবে শুধু বাণিজ্য আলোচনাতেই নয়, বরং বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। তবে আসিয়ান, আসিয়ান+ ৩ (যেখানে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে) এবং পূর্ব এশিয়া সম্মেলনের (ইস্ট এশিয়া সামিট) মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কৌশলগত ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অনিশ্চয়তা এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
ভূ–অর্থনৈতিক বিভাজনের এ সময়ে এশিয়ার দেশগুলো সহজেই বড় শক্তিগুলোর নীতির শিকার হতে পারে। কিন্তু যদি তারা বাণিজ্য অংশীদারত্ব জোরদার করে, আর্থিক সহযোগিতা শক্তিশালী করে, কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করে এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়, তাহলে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। একই সঙ্গে তারা বিশ্ব অর্থনীতির নতুন কাঠামো তৈরির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।পাশাপাশি বাণিজ্য ও আর্থিক সংহতি বাড়িয়ে এশিয়া যদি নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল ও সহনশীল করে তুলতে পারবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বহুপক্ষীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য অংশীদারদের বৈচিত্র্য আনা। এর অর্থ হলো, প্রথমেই সামগ্রিক ও প্রাগ্রসর আন্তপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারি চুক্তি (কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ অ্যাগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ, সংক্ষেপে সিপিটিপিপি) আরও শক্তিশালী করা। এই চুক্তি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, কানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামকে অন্তর্ভুক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। এর সদস্যসংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এ চুক্তিতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদেরও এতে যুক্ত করা যেতে পারে।
আঞ্চলিক বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারি (রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ, সংক্ষেপে আরসিইপি) চুক্তিকেও (যেখানে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে) আরও কার্যকর করতে হবে।
এর জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালা আরও শক্তিশালী করা এবং সম্ভব হলে ভারতকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় আঞ্চলিক বাণিজ্যব্যবস্থা শক্তিশালী হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষাবাদী নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে।
এশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের নিজস্ব মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ফিরতে হবে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মিল থাকায় তারা স্বাভাবিক অংশীদার।
চীনকে অন্তর্ভুক্ত করা কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে তাদের আক্রমণাত্মক সামরিক অবস্থানের কারণে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা একটু কঠিন। তবে চীনের বিশাল বাজার ও উন্নত প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিবেচনায় এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা জরুরি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যখন অর্থনৈতিক স্বার্থকে গণতান্ত্রিক নীতির ঊর্ধ্বে রাখছে, তখন এশিয়ার দেশগুলোর উচিত বাস্তবতাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং মতাদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গিতে আটকে না থাকা।
বাণিজ্যের বাইরেও ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর শুরু হওয়া সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। চিয়াং মাই উদ্যোগ (চিয়াং মাই ইনিশিয়েটিভ মাল্টিল্যাটেরালাইজেশন, সংক্ষেপে সিএমআইএম) সংকটের সময় আসিয়ান+ ৩ (চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ আসিয়ান দেশগুলো) দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়। এই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ ছাড়া এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়গুলোকে একসঙ্গে কাজ করে আরও কার্যকর আর্থিক স্থিতিশীলতা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এর আওতায় শক্তিশালী সংকট ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা, নীতিগত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট যোগাযোগব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। এটি বৈশ্বিক অস্থিরতার সময়ে মুদ্রাবাজার ও আর্থিক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ও প্রযুক্তিযুদ্ধ বিশ্বকে প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনৈতিক শিবিরে বিভক্ত করার ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বড় ধরনের অস্থিরতা আনতে পারে। তবে এ পরিস্থিতি এড়ানোর এখনো সময় আছে। এর জন্য দরকার এমন একটি বহুমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে একাধিক অর্থনৈতিক শিবির থাকবে এবং দেশগুলো একাধিক শিবিরের সদস্য হতে পারবে।
এশিয়ার দেশগুলো যদি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক একীকরণকে উৎসাহিত করে, তাহলেই তারা এ ধরনের একটি কাঠামোর ভিত্তি তৈরি করতে পারবে।
ভূ–অর্থনৈতিক বিভাজনের এ সময়ে এশিয়ার দেশগুলো সহজেই বড় শক্তিগুলোর নীতির শিকার হতে পারে। কিন্তু যদি তারা বাণিজ্য অংশীদারত্ব জোরদার করে, আর্থিক সহযোগিতা শক্তিশালী করে, কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করে এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়, তাহলে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। একই সঙ্গে তারা বিশ্ব অর্থনীতির নতুন কাঠামো তৈরির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
লি জং ওয়া কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, যিনি এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক–বিষয়ক সাবেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর থ ক স সহয গ ত ব যবস থ ক শলগত র জন য আরও ক
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন পণ্যের জন্য বাজার আরও উন্মুক্ত করতে প্রস্তুত ভিয়েতনাম
যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানির জন্য ভিয়েতনাম নিজেদের বাজার আরও উন্মুক্ত করতে ও অতিরিক্ত প্রণোদনা দিতে প্রস্তুত। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী গুয়েন হং দিয়েন গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সিনেটর রজার মার্শালের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান।
ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী গুয়েন হং জানান, পার্টির সাধারণ সম্পাদক তো লাম ও প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের বার্তা তিনি সিনেটর রজার মার্শালের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বার্তায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদারে ভিয়েতনাম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং উভয় দেশের জনগণ ও পারস্পরিক ব্যবসার স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে আগ্রহী। খবর ভিয়েতনাম নিউজের
চলমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে হং দিয়েন বলেন, আলোচনায় ভিয়েতনাম বরাবরের মতোই নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে আছে। তিনি জানান, আলোচনার ভিত্তি হবে পরস্পরের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, স্বার্থের ভারসাম্য ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং উভয় দেশের উন্নয়ন।
হং দিয়েন আশা প্রকাশ করেন, সিনেটর রজার মার্শাল যেহেতু রিপাবলিকান পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বাণিজ্য, কৃষি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ সেহেতু তিনি আলোচনার সময় নিজ দেশের (ভিয়েতনাম) পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন সরকার, বিশেষ করে কানসাস রাজ্যের সঙ্গে ভিয়েতনামের সহযোগিতা আরও জোরদারে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে। কারণ, কৃষিসহ মহাকাশপ্রযুক্তি ও জীবপ্রযুক্তিতে কানসাসের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।
মার্কিন সিনেটর রজার মার্শাল ভিয়েতনামের আন্তরিকতা, অগ্রগামী মনোভাব ও সদিচ্ছার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, আলোচনার বিষয়টি তিনি শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করবেন। আলোচনায় উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্শাল।
একই দিনে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী গুয়েন হং দিয়েন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত সুপারশপ ওয়ালমার্ট এবং অ্যাথলেটিক বা খেলাধুলার জুতা ও ক্রীড়াসামগ্রীর প্রতিষ্ঠান নাইকির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এই দুটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
নাইকির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে গুয়েন হং দিয়েন তাঁর দেশে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ও দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির প্রশংসা করেন। বর্তমানে নাইকির বিশ্বব্যাপী জুতার প্রায় ৫০ শতাংশই ভিয়েতনামে তৈরি হয়, যা সরাসরি ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা ওয়ালমার্টের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী দিয়েন বিশ্ববাজারে ভিয়েতনামি পণ্যের প্রচারে ওয়ালমার্টের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি প্রস্তাব দেন, ওয়ালমার্ট যেন উচ্চমূল্যের ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের ক্রয় বাড়ায় এবং ভিয়েতনামে একটি কৌশলগত সোর্সিং হাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিবেচনা করে।