নির্বাচনের আগে সংস্কার চান শহীদ ওমরের মা
Published: 28th, March 2025 GMT
নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার চান জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ উমরের মা রুবি আকতার। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের একটি রেস্তোরাঁয় জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজনদের সম্মানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
রুবি আকতার বলেন, ‘৫ আগস্ট আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। আমি চাই, আগে দেশ সংস্কার হোক তারপর নির্বাচন। আমাদের ছেলেদের হত্যার এখনও বিচার হয়নি। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব খুনির বিচার দেখতে চাই। স্বৈরাচার আমাদের হীরের টুকরোদের শেষ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টিকে অনুরোধ জানাব, আমি সবসময় সততার মধ্যে চলতে চাই, বাঁচতে চাই। আপনারাও ছাত্র, আপনারা সততা বজায় রেখে দেশ চালানোর জন্য এগিয়ে যাবেন এটি আমার অনুরোধ।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজের সঞ্চালনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, চার্জশিট থেকে অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়ছে। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
এনসিপি দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, রাজনীতিকে ভুলভাবে বোঝাপড়া করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা কখনো মেনে নেবে না। রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য আবার যদি প্রাণ দিতে হয় তাহলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে আসব। তবুও সংস্কার এনেই ছাড়ব।
এনসিপি দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, আওয়ামী বিচার না করা মানে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য পরিস্থিতি জিইয়ে রাখা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্যে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম এনসিপির সংগঠক মোহাম্মদ এরফানুল হক, রাফসান জামী, সমাজসেবক ইফাত ইবরাহিম, শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য আমির হোসেন আতিক প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।