আরও একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি
Published: 1st, April 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছড়ায় হয়তো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিতে পারেন তিনি। তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আপাতত ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তার। বরং ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।
৩৬ বছর বয়সী কোহলি ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, এখনই সরে দাঁড়ানোর কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। আইপিএল চলাকালীন এক অনুষ্ঠানে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করব। সেটাই আমার বড় লক্ষ্য।’’
কোহলির এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান।
আরো পড়ুন:
দুই টেস্ট খেলেই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কনস্টাস
অশ্বিনীর বোলিং তোপে ১১৬ রানেই অলআউট কলকাতা
ভারত ২০১১ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর ২০১৫ ও ২০১৯ সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দলটি। আর ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়। সেই হার কোহলির জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টদায়ক, যা তিনি প্রকাশও করেছিলেন। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সেই দুঃখ মিটেছে।
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। তখন কোহলির বয়স হবে ৩৮ বছর। তবে তার ফিটনেস ও মানসিক দৃঢ়তা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, বয়স তার জন্য বড় কোনো বাধা হবে না। তিনি এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ব শ বক প জ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশ ঐক্যকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে: রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট ঐক্যকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই সংকট এড়াতে কমিশনকে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশগুলো নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা সংস্কার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে আলাপ-আলোচনার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। ঐকমত্য কমিশন যে ঐক্যকে সামনে রেখে প্রায় এক বছর ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে, বাস্তবায়নের সুপারিশ সেই ঐক্যকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে।
চ্যালেঞ্জের মূল কারণ হিসেবে বলা হয়, ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেটুকু আলোচনা করেছিল, সেখানে এ প্রস্তাবে উল্লেখিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর পর যদি এ প্রস্তাব জাতির সামনে হাজির করা হতো, তাহলে চ্যালেঞ্জ পরিহার করা যেত।
এতে আরও বলা হয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের মাধ্যমে পরবর্তী সংসদকে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় গঠনগত ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু যেসব প্রস্তাবে কিছু দল আপত্তি জানিয়েছিল, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় সংস্কার প্রস্তাবে লিপিবদ্ধ আপত্তির বিষয়গুলোকে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ থেকে মুছে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, দ্রুত ওই সুপারিশ থেকে বের হয়ে না এলে রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশের ভেতরের যৌক্তিক ক্ষোভ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের ভেতর ছড়িয়ে পড়বে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের মানুষ যখন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশের প্রতি অন্যায় আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। দেশের মানুষকে স্বৈরাচারী সরকারের চেয়ে উন্নত জীবন উপহার দেওয়ার সুযোগ হারিয়ে যাবে।
সংকট এড়াতে ঐকমত্য কমিশনকে দ্রুত তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে পুনরায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। তারা বলেছে, সংবিধান টেকসই ও সর্বজনীন করতে তাড়াহুড়ো থেকে বিরত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোই সংবিধান সংস্কারের একমাত্র পথ। ঐকমত্য কমিশন সঠিক বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দিয়ে দেশকে সংকট থেকে মুক্ত রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।