ঈদসংখ্যায় কী নিয়ে লিখছি শোনার পর ‘খেলা খায়, খেলা ঘুমায়, খেলারই স্বপ্ন দেখে’ এমন এক বন্ধু অবাক হয়ে বলল, ‘মেসি-রোনালদো! মেসি-রোনালদোকে নিয়ে লেখার কী আছে?’
প্রশ্নটা শুনে আমার অবাক হওয়ার পালা। প্রায় দুই দশক ফুটবল বিশ্ব আক্ষরিক অর্থেই যাঁদের পদানত, যাঁদের দ্বৈরথের মতো কিছু এর আগে কখনো দেখেনি ফুটবল, ক্লাব ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র ইউরোপ থেকে ‘স্বেচ্ছানির্বাসনে’ চলে যাওয়ার পরও প্রায় প্রতিদিনই যাঁরা খবরে—তাঁদেরকে নিয়ে লেখার কী আছে! এ কেমন ধারা প্রশ্ন!
আচ্ছা, ওই বন্ধু অন্য কিছু বোঝায়নি তো! হয়তো ‘মেসি না রোনালদো’ চিরন্তন সেই তর্ককে এই লেখার বিষয়বস্তু বলে ভাবছে। এঁদের একজনের পাগল ভক্ত বলে যে তর্ক তাঁর কাছে অনেক আগেই মীমাংসিত। তা শুধু ফুটবলীয় যুক্তিতর্কের ভিত্তির ওপরই দাঁড়িয়ে নয়। এমনিতে ওর যুক্তিবাদী মন বরং এই প্রসঙ্গে তীব্র আবেগে একেবারেই আচ্ছন্ন। এই তর্কে শুধু হাতাহাতি হতে বাকি—এমন অনেক আড্ডায় থাকার অভিজ্ঞতা কীভাবে ভুলে যাই!
ভক্ত-সমর্থকেরা অবশ্য এমনই হয়। কোথাকার মেসি, কোথাকার রোনালদো—এঁদের নিয়ে ঝগড়ায় গড়ানো তর্কে কত বন্ধুত্ব ভেঙে যেতে দেখেছি। যেন ওই তর্কে জেতা না-জেতার ওপরই নির্ভর করছে এ বছরের ব্যালন ডি’অরটা কে পাবে।
ভুলটা ভাঙিয়ে দেওয়া তাই কর্তব্য বলে মনে হলো। মেসি সেরা, না রোনালদো—এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা লেখার উপজীব্য নয় জানানোর পর উল্টো বরং আমার ভুল ভাঙল। বন্ধু অনুমিতভাবেই ‘ওটা নিয়ে আর কথা বলার কী আছে’ টাইপ একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘আরে না, আমি মোটেই অমন কিছু ভাবিনি। প্রশ্নটা করেছি, কারণ তোর জন্য আমার একটু মায়াই হচ্ছে।’
লা লিগায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেসি ও রোনালদো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।