Prothomalo:
2025-05-01@00:36:27 GMT

আহা, সেই সব দিন

Published: 2nd, April 2025 GMT

ঈদসংখ্যায় কী নিয়ে লিখছি শোনার পর ‘খেলা খায়, খেলা ঘুমায়, খেলারই স্বপ্ন দেখে’ এমন এক বন্ধু অবাক হয়ে বলল, ‘মেসি-রোনালদো! মেসি-রোনালদোকে নিয়ে লেখার কী আছে?’

প্রশ্নটা শুনে আমার অবাক হওয়ার পালা। প্রায় দুই দশক ফুটবল বিশ্ব আক্ষরিক অর্থেই যাঁদের পদানত, যাঁদের দ্বৈরথের মতো কিছু এর আগে কখনো দেখেনি ফুটবল, ক্লাব ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র ইউরোপ থেকে ‘স্বেচ্ছানির্বাসনে’ চলে যাওয়ার পরও প্রায় প্রতিদিনই যাঁরা খবরে—তাঁদেরকে নিয়ে লেখার কী আছে! এ কেমন ধারা প্রশ্ন!

আচ্ছা, ওই বন্ধু অন্য কিছু বোঝায়নি তো! হয়তো ‘মেসি না রোনালদো’ চিরন্তন সেই তর্ককে এই লেখার বিষয়বস্তু বলে ভাবছে। এঁদের একজনের পাগল ভক্ত বলে যে তর্ক তাঁর কাছে অনেক আগেই মীমাংসিত। তা শুধু ফুটবলীয় যুক্তিতর্কের ভিত্তির ওপরই দাঁড়িয়ে নয়। এমনিতে ওর যুক্তিবাদী মন বরং এই প্রসঙ্গে তীব্র আবেগে একেবারেই আচ্ছন্ন। এই তর্কে শুধু হাতাহাতি হতে বাকি—এমন অনেক আড্ডায় থাকার অভিজ্ঞতা কীভাবে ভুলে যাই!

ভক্ত-সমর্থকেরা অবশ্য এমনই হয়। কোথাকার মেসি, কোথাকার রোনালদো—এঁদের নিয়ে ঝগড়ায় গড়ানো তর্কে কত বন্ধুত্ব ভেঙে যেতে দেখেছি। যেন ওই তর্কে জেতা না-জেতার ওপরই নির্ভর করছে এ বছরের ব্যালন ডি’অরটা কে পাবে।

ভুলটা ভাঙিয়ে দেওয়া তাই কর্তব্য বলে মনে হলো। মেসি সেরা, না রোনালদো—এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা লেখার উপজীব্য নয় জানানোর পর উল্টো বরং আমার ভুল ভাঙল। বন্ধু অনুমিতভাবেই ‘ওটা নিয়ে আর কথা বলার কী আছে’ টাইপ একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘আরে না, আমি মোটেই অমন কিছু ভাবিনি। প্রশ্নটা করেছি, কারণ তোর জন্য আমার একটু মায়াই হচ্ছে।’

লা লিগায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেসি ও রোনালদো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ