আয় গোপন করার অভিযোগে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল স্পেনের কর কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার বিচার শুরু হয়েছে আজ।

দোষী সাব্যস্ত হলে ৪ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে আনচেলত্তির, জরিমানা হতে পারে ৩২ লাখ ইউরো (প্রায় ৪২ কোটি টাকা)। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আনচেলত্তি বলেছেন, তিনি কখনো জালিয়াতি করার কথা ভাবেননি।

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালতে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিচার কাজ শুরু হয়েছে। গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে কোপা দেল রের ফাইনালে তোলা আনচেলত্তি আজ সকাল সকাল চলে আসেন আদালতে। সঙ্গে ছিলেন রিয়ালের সহকারী কোচ ও তাঁর ছেলে দাভিদ আনচেলত্তি, দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়ান বারেনা ম্যাকক্লে ও সৎ মেয়ে ক্লোয়ি ম্যাকক্লে।

আদালতে প্রায় ৪০ মিনিট শুনানি হয়েছে। এ সময় আনচেলত্তি বলেন, ‘আমার কাছে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয়েছে। আমি কখনো জালিয়াতি করার কথা ভাবিনি।’

আজ সকাল সকাল আদলতে হাজির হন আনচেলত্তি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ