ড. ইউনূস ৪ বছর ক্ষমতায় থাকলে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের মতো হবে দেশ: ফুয়াদ
Published: 3rd, April 2025 GMT
সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২ থেকে ৪ বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর-দক্ষিণ কোরিয়ার মতো হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতবড় জনমত-জনসমর্থন নিয়ে কোনদিন কেউ আবির্ভূত হননি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরে সবচেয়ে সফল সরকার হবেন অধাপক ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন একটার সঙ্গে আরেকটা সাংঘর্ষিক নয়, পুরোটা মিলে হলো অন্তবর্তী সরকার, একাত্তরের মুক্তির লড়াই, আমার ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। সংস্কার আমরা সবাই চাই।
ফুয়াদ বলেন, তরুণদের যে আকাংক্ষাগুলো দেখেন; সেগুলো সেপারেট। কিন্তু দুটি মর্যাদার জায়গায় সমান। রাজনৈতিক দলের যে আকাক্ষা; সেটা ন্যায্য। আবার তরুণরা সংস্কারের যে আওয়াজ তুলছেন, সেটাও ন্যায্য। দেশের জনসংখ্যার ৬৫ ভাগের বয়স ৩৫-৪০-এর নিচে। তারা কখনোই ভোট দেননি। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর বিশাল জনসংখ্যার সমর্থন আছে।
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন সবগুলো মিলিয়ে সম্মিলিত রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনটাই হলো একটি সংস্কার, সংস্কার মানে হলো নির্বাচন। বিচার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হলো শত্রু শ্রেণির বিচার করতে হবে। এগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার সম্পর্ক রয়েছে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মতবিনিময়ের শুরুতে বলেন, তিনি প্রায় ২৫ বছর পর নিজ এলাকা বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ঈদ উদযাপন করেছেন। তিনি গত কয়েকদিন বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। দুটি উপজেলাতেই সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। স্বাস্থ্যসেবা বলতে কিছু নেই। গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। এসবের উন্নয়নে তিনি সরকারের উচ্চমহলে দেনদরবার করবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স বর শ ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল