পড়ে থাকা কার্টুন খুলতেই বেরিয়ে এলো টুকরো টুকরো মরদেহ
Published: 4th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পরিত্যক্ত কার্টুনে মরদেহের কয়েক টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মাথাসহ মরদেহের টুকরোগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে লৌহজং উপজেলার আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতু উত্তর থানাধীন মেদিনীমণ্ডল গ্রামের আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে খেলার সময় একটি পরিত্যক্ত কার্টুন দেখতে পায় কয়েকজন কিশোর। তার কাছে গিয়ে কার্টুন খুলতে পলিথিন ব্যাগে মরদেহের খণ্ডিত অংশ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয়দের জানায়। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ব্যাগের ভেতরে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ কোমর থেকে গলা পর্যন্ত শরীরের কয়েকটি অংশ পাওয়া গেছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, মাথা দেখে মনে হচ্ছে, এটি কোনো পুরুষের মরদেহ।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ব্যাগ এখানে ফেলে রেখে গেছে তা দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।