‘সিনেমা নিয়ে এই উন্মাদনা থাকা জরুরি’
Published: 5th, April 2025 GMT
পায়ে ব্যান্ডেজ, হুইলচেয়ারে মোশাররফ করিম। বুধবার তাঁকে দেখা গেল স্টার সিনেপ্লেক্সে। এমন মোশাররফ করিমকে দেখে অবাক দর্শক–ভক্তরা। কী হয়েছে অভিনেতার? জানা গেল, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর দুটি অস্ত্রোপচার হয় মোশাররফ করিমের। এদিকে নিজের নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বাধ্য হয়ে ব্যান্ডেজ পায়ে হুইলচেয়ারে চলতে হচ্ছে তাঁকে।
গল্প আর চরিত্র পছন্দ হলে ছোট পর্দার অভিনেতা মোশাররফ করিম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এবার ঈদে শুধু সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত চক্কর। যাঁরাই ছবিটি দেখছেন, প্রশংসা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর অভিনয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মোশাররফ করিমের কাছেও ছবিটি নিয়ে ইতিবাচক সব কথাবার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
‘চক্কর’–এ কেন
দেশের পাশাপাশি গেল কয়েক বছরে ভারতীয় পরিচালকের ছবিতেও অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোয় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ছবিটির শুটিংয়ে অংশ নেন মোশাররফ করিম। কী ভেবে এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, জানতে চাইলে মোশাররফ করিম বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, চরিত্রটা ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচের একজন মানুষের। এমন তিনটা দিক ছবিতে খুঁজে পেয়েছি, মনে হয়েছে, এটা আমার করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা, চরিত্রের একটা সর্ম্পূণতা আছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫