আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের প্রকাশিত নোমাড পাসপোর্ট সূচক ২০২৫–এ বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮২তম। সে হিসেবে দেশের পাসপোর্টের অবস্থান এক ধাপ এগিয়েছে।

দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্ট গতকাল শুক্রবার পাসপোর্টের এই বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সূচকটি দেওয়া রয়েছে।

তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১০৯। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ১৭৬টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন–অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন।

নোমাডের তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া কিংবা অন–অ্যারাইভাল ভিসায় ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

পাসপোর্টের অন্য সূচকগুলো সাধারণত ভিসামুক্ত কিংবা অন–অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণের সুবিধার ওপর ভিত্তিতে তৈরি হলেও নোমাড ক্যাপিটালিস্টের সূচক মোট পাঁচটি মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে। এগুলো হলো ভিসামুক্ত ভ্রমণ (৫০ শতাংশ), করব্যবস্থা (২০ শতাংশ), বৈশ্বিক ধারণা (১০ শতাংশ), দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণের সক্ষমতা (১০ শতাংশ) ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা (১০ শতাংশ)।

সূচক অনুযায়ী, এসব মানদণ্ড বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বের ‘প্রকৃত মূল্য’ বুঝতে সাহায্য করে, যা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয়। পাঁচটি মানদণ্ডে দেশগুলোর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান কে কত নম্বরে০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সেরা দশে কারা

নোমাড পাসপোর্ট সূচকে বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড ও গ্রিস। দেশ দুটির স্কোর ১০৮ দশমিক ৫।

সেরা দশের অন্যান্য দেশ হলো যথাক্রমে পর্তুগাল, মাল্টা, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড ও আইসল্যান্ড।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ড বাদে সেরা দশের সব কটি দেশ ইউরোপের। দেশ দুটি যৌথভাবে দশম অবস্থানে রয়েছে।

এ ছাড়া নোমাড পাসপোর্ট সূচকে যুক্তরাজ্য ২১, জাপান ৩৭, যুক্তরাষ্ট্র ৪৫, রাশিয়া ৯৫ ও চীন ১১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

আরও পড়ুনশক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ, শীর্ষে কোন দেশ০৮ জানুয়ারি ২০২৫দক্ষিণ এশিয়ায় কে কোথায়

নোমাড পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের আগে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ রয়েছে। ৪৯ স্কোর নিয়ে ১৪০তম অবস্থান ভূটানের। ভারত রয়েছে ১৪৮তম অবস্থানে; স্কোর ৪৭ দশমিক ৫। শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪৩ দশমিক ৫; অবস্থান ১৬৮তম। বাংলাদেশের ঠিক ওপরে ১৮০তম অবস্থানে রয়েছে নেপাল। দেশটির স্কোর ৩৯ দশমিক ৫।

অন্যদিকে নোমাড পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের ঠিক পরে ১৮২তম অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। দেশটির স্কোর ৩৭ দশমিক ৫। আর পাকিস্তান ৩২ স্কোর নিয়ে রয়েছে ১৯৫তম অবস্থানে।

সূচকের সবশেষ (১৯৯তম) নাম আফগানিস্তানের। দেশটির স্কোর ২৭।

আরও পড়ুনভিসা ছাড়াই এবার বিশ্বের যে ৪২ দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা১৩ জানুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক ৫ অবস থ ন ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র‌্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।  

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

আরো পড়ুন:

ছাত্রলীগের বিচারসহ ৯ দাবি জবি ছাত্রদলের

রাবিতে প্রভাষক হলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা, ক্ষোভ

ভিসি আরো জানান, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। গত পরশু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 

বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটা প্রত্যাহার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এই অবিচারের বিচারও হবে।’’  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’’ 

২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাবরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।

ঢাকা/শংকর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের রোডম্যাপে কবে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ
  • ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
  • এ দেশে খুচরা ব্যাংকিং বন্ধ করে দিচ্ছে এইচএসবিসি
  • রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল
  • জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ, শিশুদের জন্য মা-বাবা পাবেন ভাতা
  • সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ প্রত্যাখ্যান
  • ঢাবিতে জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা
  • নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে শাহজালাল ব্যাংক
  • সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্‌সহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা