পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছিলেন অনেক মানুষ। টানা নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) খুলবে সরকারি অফিস। তাই, সরকারি চাকিরজীবীসহ অন্য পেশার লোকজন আজ শনিবার ঢাকায় ফিরছেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে আবার কেউবা ট্রেনে করে ঢাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে মানুষের চাপ বাড়ছে। সদরঘাট ও সায়দাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েছে।

রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো একে একে এসে থামছে। দীর্ঘ যাত্রার পর যাত্রীরা ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নামছেন। বেলা যত গড়াচ্ছে, তত বাড়ছে রাজধানীমুখী যাত্রীর স্রোত।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাল অফিস খুলবে, এ কারণে আজ যাত্রীর চাপ বেশি। সকালে যাত্রী কম থাকলেও বিকেল ও সন্ধ্যায় চাপ বাড়বে। 

তারা জানিয়েছেন, এবার দীর্ঘ দিন ছুটি থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি যাত্রীদের। স্বস্তিতেই আসা-যাওয়া করতে পেরেছেন যাত্রীরা।

কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় পথে ভোগান্তি না থাকলেও ভাড়া বেশি নিয়েছে পরিবহনগুলো। এতে যাত্রীদের ওপর আর্থিক চাপ পড়েছে। ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময়ও একই চিত্র ছিল।

চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন কামরুজ্জামান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি ও আমার ভাই পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি ঢাকায় চাকরি করি, তাই সায়দাবাদে এসে নেমেছি। আমার ভাই দাউদকান্দিতে চাকরি করে। সে তার পরিবার নিয়ে দাউদকান্দিতে বাস থেকে নেমে গেছে। কিন্তু, তার কাছ থেকে ঢাকার ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ঈদ ছাড়া অন্য সময় হলে দাউদকান্দি পর্যন্তই ভাড়া নিতো। এভাবে বাসগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। শুনলাম, সব রুটে একই অবস্থা।

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এক দিনসহ শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ ৫ এপ্রিল ছুটি শেষ হচ্ছে। আগামীকাল অফিস খুলবে। তাই, কর্মজীবী মানুষরা আজই ঢাকায় ফিরছেন।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ