অফিস খুলবে কাল, রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা
Published: 5th, April 2025 GMT
পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছিলেন অনেক মানুষ। টানা নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) খুলবে সরকারি অফিস। তাই, সরকারি চাকিরজীবীসহ অন্য পেশার লোকজন আজ শনিবার ঢাকায় ফিরছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে আবার কেউবা ট্রেনে করে ঢাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে মানুষের চাপ বাড়ছে। সদরঘাট ও সায়দাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েছে।
রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো একে একে এসে থামছে। দীর্ঘ যাত্রার পর যাত্রীরা ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নামছেন। বেলা যত গড়াচ্ছে, তত বাড়ছে রাজধানীমুখী যাত্রীর স্রোত।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাল অফিস খুলবে, এ কারণে আজ যাত্রীর চাপ বেশি। সকালে যাত্রী কম থাকলেও বিকেল ও সন্ধ্যায় চাপ বাড়বে।
তারা জানিয়েছেন, এবার দীর্ঘ দিন ছুটি থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি যাত্রীদের। স্বস্তিতেই আসা-যাওয়া করতে পেরেছেন যাত্রীরা।
কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় পথে ভোগান্তি না থাকলেও ভাড়া বেশি নিয়েছে পরিবহনগুলো। এতে যাত্রীদের ওপর আর্থিক চাপ পড়েছে। ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময়ও একই চিত্র ছিল।
চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন কামরুজ্জামান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি ও আমার ভাই পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি ঢাকায় চাকরি করি, তাই সায়দাবাদে এসে নেমেছি। আমার ভাই দাউদকান্দিতে চাকরি করে। সে তার পরিবার নিয়ে দাউদকান্দিতে বাস থেকে নেমে গেছে। কিন্তু, তার কাছ থেকে ঢাকার ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ঈদ ছাড়া অন্য সময় হলে দাউদকান্দি পর্যন্তই ভাড়া নিতো। এভাবে বাসগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। শুনলাম, সব রুটে একই অবস্থা।
এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এক দিনসহ শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ ৫ এপ্রিল ছুটি শেষ হচ্ছে। আগামীকাল অফিস খুলবে। তাই, কর্মজীবী মানুষরা আজই ঢাকায় ফিরছেন।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’
গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।