কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বাধুনিক চিপ হাতে পেতে বেইজিংয়ের আকাঙ্ক্ষা যেন পূরণ না হয়, সে জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। ফলে মার্কিন চিপ নির্মাতাদের রাজস্ব কমবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সর্বশেষ সেমিকন্ডাক্টর বিক্রির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়েছে। সুপারকম্পিউটার গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীনের অগ্রগতি নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন বিধিনিষেধ। সূত্র বলছে, চীনে চিপ বিক্রি করতে চাইছে এমন মার্কিন প্রতিষ্ঠান বা সেখানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করতে হবে বা বিশেষ লাইসেন্স পেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত চিপ তৃতীয় দেশ হয়ে চীনে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে চিপ নির্মাতাকে মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সাপেক্ষে আরও কয়েক ডজন দেশে পাঠানোর লাইসেন্স নিতে হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এমন বিধিনিষেধ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক যান ও গেমিং সিস্টেমের মতো বাণিজ্যিক সব অ্যাপ্লিকেশনে চিপ ব্যবহারকে প্রভাবিত করবে। বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করি। শক্তিশালী মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য যা অপরিহার্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি