বাংলাদেশে রিচার্জেবল প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক উন্মোচন করেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ারে পুরোপুরি গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত ইলেকট্রিক বাইকের কথা জানালেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা। পূর্ণ চার্জে পথ চলতে সক্ষম ৮০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা, যখন পূর্ণ চার্জে ৫০ কিলোমিটার পথ যেতে পারে।
২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সমর্থন করে।
পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.
নির্মাতারা জানান, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে মডেলটি ডিজাইন করা। সামনে ডিস্ক ব্রেক আর পেছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে। রিয়ার ও ফ্রন্ট হাইড্রোলিক সাসপেনশন। রাতে নিরাপদ যাত্রায় রয়েছে এলইডি লাইটিং সিস্টেম। যার মধ্যে রয়েছে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট ও টার্ন সিগন্যাল।
উদ্যোক্তারা জানায়, বাইকের ওজন ১৪০ কেজি। হালকা ফ্রেমে সামনে ও পেছনে ৯০/৮০-১২ ইঞ্চি ভ্যাকুয়াম টায়ারযুক্ত বাইকটি গ্রিপ ও ভারসাম্য নিশ্চিত করে। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২০৫ এমএম। ফলে অসমান পথে অসুবিধা হয় না। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা প্রয়োজনে জিনিস বহনের সুবিধা দেবে। সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব চলাচলে সময়োপযোগী প্রযুক্তি, যথাযথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল