Samakal:
2025-08-02@05:42:31 GMT

ই-বাইক

Published: 6th, April 2025 GMT

ই-বাইক

বাংলাদেশে রিচার্জেবল প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক উন্মোচন করেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ারে পুরোপুরি গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত ইলেকট্রিক বাইকের কথা জানালেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা। পূর্ণ চার্জে পথ চলতে সক্ষম ৮০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা, যখন পূর্ণ চার্জে ৫০ কিলোমিটার পথ যেতে পারে।
২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সমর্থন করে।
পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.

০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। ব্যাটারিটি পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেয় ১০.৬ ঘণ্টা।
নির্মাতারা জানান, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে মডেলটি ডিজাইন করা। সামনে ডিস্ক ব্রেক আর পেছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে। রিয়ার ও ফ্রন্ট হাইড্রোলিক সাসপেনশন। রাতে নিরাপদ যাত্রায় রয়েছে এলইডি লাইটিং সিস্টেম। যার মধ্যে রয়েছে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট ও টার্ন সিগন্যাল।
উদ্যোক্তারা জানায়, বাইকের ওজন ১৪০ কেজি। হালকা ফ্রেমে সামনে ও পেছনে ৯০/৮০-১২ ইঞ্চি ভ্যাকুয়াম টায়ারযুক্ত বাইকটি গ্রিপ ও ভারসাম্য নিশ্চিত করে। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২০৫ এমএম। ফলে অসমান পথে অসুবিধা হয় না। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা প্রয়োজনে জিনিস বহনের সুবিধা দেবে। সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব চলাচলে সময়োপযোগী প্রযুক্তি, যথাযথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা

ভুটান প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পারো এফসিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের তরুণ ফুটবলার মো. জুয়েল রানা। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে তার স্বপ্নপূরণের যাত্রা।

শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল জুয়েলের গভীর ভালোবাসা। স্থানীয় পর্যায়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজেকে চিনিয়েছেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও। খেলেছেন ঢাকা সিটি কাপ, মেয়র কাপ, এমনকি বসুন্ধরা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় ডাক পান ভুটানের পেশাদার ফুটবল লিগের ট্রায়াল ক্যাম্পে, যেখানে ৫০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের একজন জুয়েল। বর্তমানে জুয়েল ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যামার স্কুল, রংপুর-এর নবম শ্রেণির বাংলা ভার্সনের শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

১০ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে সিউলকে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনা

রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে

নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হতে যাওয়া লিগে অংশ নিতে হলে এর আগেই পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট ও খেলার কিটসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু এখানেই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।

জুয়েলের বাবা একজন দিনমজুর ও ভ্যানচালক। এমন আর্থিক অবস্থায় এত ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

জুয়েল রানা বলেন, “আমি ডোমার হাইস্কুল মাঠে খেলা শুরু করি, ডোমার ফুটবল একাডেমির কোচ সুজন ভাইয়ের কাছেই প্রথম হাতে খড়ি। এরপর উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে এবং বসুন্ধরা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলি। ভুটান থেকে পারো এফসির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। তাদের নেয়া ট্রায়ালে ৫০ জনের মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হই, পরে মেডিকেল টেস্টের পর আমিসহ ৩ জন সুযোগ পাই। লিগ শুরু হওয়ার এক মাস আগেই যেতে হবে। কিন্তু এখন অর্থের কারণে যাওয়া হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত। পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, কিটস সবকিছুতেই টাকা দরকার। আমি শুধু চাই কেউ পাশে দাঁড়াক। আমি দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।”

জুয়েলের মা রশিদা বেগম বলেন, “ছেলেটা অনেক কষ্ট করে আজ এই পর্যন্ত এসেছে। এখন যদি শুধু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন থেমে যায়, সেটা আমাদের সহ্য হবে না।”

জুয়েলের বাবা জয়নুল ইসলাম বলেন, “আমি দিনমজুর মানুষ, ছেলের স্বপ্নপূরণে কিছুই করতে পারছি না। এই কষ্ট ভাষায় বোঝানো যায় না। সরকার কিংবা কেউ যদি সাহায্য করত, আমার ছেলে বিদেশে গিয়ে খেলতে পারত।”

এলাকাবাসীরাও জুয়েলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “জুয়েল অনেক ভালো খেলে, সে আমাদের গর্ব। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত অসচ্ছল। সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সে একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।”

ডোমার ফুটবল একাডেমির কোচ মো. সাদিকুর রহমান সুজন বলেন, “জুয়েল আমাদের একাডেমির অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড়। সে তার পরিশ্রমে অনেক দূর এগিয়েছে। সে ভুটানে খেলার সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু এখন শুধু অর্থের অভাবে তার যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেছে। তার বাবা একজন ভ্যানচালক—এই খরচ বহন তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি অনুরোধ করব সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা যেন জুয়েলের পাশে দাঁড়ায়।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, “আমরা জুয়েলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আপনারাও সকলে জুয়েলের পাশে দাঁড়ান, সে যেন দেশের গর্ব হয়ে ওঠে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

একজন উদীয়মান প্রতিভাবান ফুটবলারের স্বপ্ন যেন শুধু আর্থিক সংকটে থেমে না যায়। এই লক্ষ্যেই জুয়েলের পরিবার সমাজের দানশীল, খেলাপ্রেমী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।

ঢাকা/সিথুন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে