আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে কোন কোন অ্যাপ সেরা
Published: 7th, April 2025 GMT
আর্থিক ব্যবস্থাপনা সবার ক্ষেত্রেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আয় যতই হোক, এর সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। বর্তমানে এ কাজে আপনার মুঠোফোনই হতে পারে কার্যকর একটি টুল। অ্যাপে রাখতে পারেন বড় খরচের বিল থেকে বন্ধুকে কফি খাওয়ানোর হিসাব কিংবা নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশনের ফির হিসাব। এভাবে খরচের হিসাব রেখে অ্যাপের মাধ্যমেই আপনার সম্পূর্ণ আর্থিক চিত্র তৈরি করতে পারেন। যেসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন:
ওয়াইএনএবি (ওয়াইএনএবি–ইউ নিড আ বাজেট)
আপনার টাকা কোথায় যাচ্ছে, তা জানতে সহায়তা করছে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি। শূন্যভিত্তিক বাজেটিং কৌশলকে গুরুত্ব দেয় অ্যাপটি। আপনার টাকাকে একটি নির্দিষ্ট কাজে বরাদ্দ করতে হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে, যা আপনাকে আপনার ব্যয়ের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়। এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরাসরি যুক্ত করা যায়। এতে ব্যাংকে কেমন টাকাপয়সা আছে, তা আপনি সরাসরি জানতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেট বিভাগ তৈরি করে এই অ্যাপে কাস্টমাইজ করার সুবিধা রয়েছে। ওয়াইএনএবি ব্যবহারকারীদের আর্থিক শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করে, যা তাঁদের সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। আপনি কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট থেকে আপনার বাজেট অ্যাকসেস করতে পারেন।
অ্যান্ড্রো মানি
এক মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এই অ্যাপ আপনার সব খরচ সম্পর্কে তথ্য দক্ষতার সঙ্গে ট্র্যাকিং করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড রেটিং ৪.
স্পেন্ডিং ট্র্যাকার
আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ স্পেন্ডিং ট্র্যাকার। এক মিলিয়নের বেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। অ্যাপটির বর্ণনায় দেখা যায়, স্পেন্ডিং ট্র্যাকার হলো অ্যাপস্টোরের সবচেয়ে সহজ ও ব্যবহারকারীবান্ধব আয়–ব্যয় ম্যানেজার অ্যাপ। এই অ্যাপ আপনার খরচ ট্র্যাকের মাধ্যমে বাজেট পরিকল্পনায় সহায়তা করে। অর্থ সঞ্চয় করার কৌশলে সহায়তা করে। অ্যান্ড্রয়েড রেটিং ৪.৬/৫ এবং অ্যাপস্টোর রেটিং ৪.৬/৫।
ওয়ালেট
আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে ওয়ালেট। এই অ্যাপ ১০ মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। অ্যাপের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ওয়ালেট একটি সর্বজনীন ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপক, যা আপনাকে অর্থ সঞ্চয় ও ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে খরচ ট্র্যাক করতে ও প্রতিটি টাকা (ডলার) কোথায় যাচ্ছে, তা জানতে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করতে পারে। আপনার অর্থকে কার্যকরভাবে পরিচালনা ও সহায়তা করার জন্য আপনার ব্যয় ও নগদ আয় সম্পর্কে ধারণা দেয় এই অ্যাপ। ওয়ালেট আপনাকে আপনার অর্থ আপনার মতো করে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময়। অ্যান্ড্রয়েড রেটিং ৪.৮/৫ এবং অ্যাপস্টোর রেটিং ৪.৬।
আরও পড়ুনখাবারের অপচয় ও ব্যয় কমাবেন যেভাবে১১ মার্চ ২০২৪পকেটগার্ড
এই অ্যাপ প্রায় এক লাখের বেশি বার ডাউনলোড হতে দেখা যায়। পকেটগার্ড অ্যাপের বর্ণনায় বলা হচ্ছে, এই অ্যাপ আপনার বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ অ্যাপ। পকেটগার্ড আপনার ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করার জন্য ও উন্নত অ্যালগরিদমের সাহায্যে আপনার আর্থিক যাত্রাকে পরিবর্তন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই অ্যাপ বাজেটকে সহজ ও সাবলীল করে তুলছে। আপনাকে আপনার আর্থিক ক্ষমতায় নিয়ন্ত্রণ নিতে সুযোগ দিচ্ছে এই অ্যাপ।
ইনটুইট ক্রেডিট কার্মা
এই অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরে ৫০ মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড হতে দেখা যায়। অ্যাপের মাধ্যমে নিজের মাসিক খরচের ওপর নজর রাখতে পারেন। প্লে স্টোরের রেটিং ৪.৮/৫ এবং অ্যাপস্টোরের রেটিং ৪.৮/৫।
সূত্র: ফোর্বস ম্যাগাজিন
আরও পড়ুনঅনলাইনে যে ৫টি কাজ করে আয় করতে পারেন২২ নভেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই অ য প র আপন র ব য ব যবহ র আর থ ক খরচ র আপন ক করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫