ফিলিস্তিদের গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল বর্বর হামলা চালাচ্ছে। রকেট হামলার আঘাতে পুরো শহর ধ্বংসস্তূতে পরিণত হয়েছে। শিশু-নারীসহ হাজারো প্রাণ নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করছে। ইসরায়েলের এমন নির্মমতায় বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজধানীসহ বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।  

ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ, আফিফ হোসেন। এছাড়া ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফেসবুক পোস্টে প্রার্থনা করেছেন। 

ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মুশফিকুর রহিম ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ, নির্যাতিতদের সাহায্য করুন। আল্লাহ, তুমি তাদের রক্ষাকর্তা। তাদের সাহায্যকারী ও শক্তিদাতা হিসেবে কাজ করো।’

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিধ্বস্ত গাজার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, দয়া করো, সাহায্য করো। হে রাহমানুর রাহিম, হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রক্ষাকর্তা। দয়া করে তাদের রক্ষা করো ও বিজয়ী বানিয়ে দাও,  আমিন। হে রব, এটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তুমি আল-আহাদ, আস-সামাদ। হে আল্লাহ, তাদের প্রতি দয়া করো, রক্ষা করো।’

মেহেদী মিরাজ লিখেছেন, ‘গাজার আকাশ বারুদের গন্ধে ভারী। নিস্তব্ধ শিশুরা কাঁদছে নিঃশব্দে। প্রতিটি কান্না প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমাদের হৃদয়ে। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলাই, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াই, গাজার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, গাজাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিন।’

ফিলিস্তিনের ফুটবলারদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘তোমরা সবসময় আমাদের হৃদয় ও মনজুড়ে থাকবে। তোমাদের শুভদিনের জন্য প্রার্থনা।’ এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প স ট কর আল ল হ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ