বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রক্তি নদীতে আবারও দেখা দিয়েছে নৌজট। দুবলারচর ও জামালগঞ্জের দুর্লভপুর এলাকায় এই জট দেখা দিয়েছে।
নদীর নাব্য সংকটের কারণে সেখানে নৌযান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে নৌজট সৃষ্টি হচ্ছে বারবার। সোমবার বিকেল থেকে কয়েকশ বালু-পাথরবাহী বাল্কহেড ও ট্রলার এই জটে আটকা পড়ে। যার ফলে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু-পাথরমহাল যাদুকাটা থেকে বালু-পাথরবাহী বাল্কহেড ও ট্রলারগুলোর মতো বড় আকারের নৌকাগুলোও সেখান থেকে বের হতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে মালপত্র পরিবহন ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে উদ্বিগ্ন নৌযানের সঙ্গে থাকা লোকজন।
এদিকে বড় নৌকাগুলোও এই জটে আটকা পড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর এই সরু অংশে নাব্য সংকট দীর্ঘদিনের। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পানির স্তর আরও নেমে গেছে। এতে করে বড় বড় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এমন নাব্য সংকটের কারণে নৌপথে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। 
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার বালু-পাথর ব্যবসায়ী রঞ্জন দাস জানান, সোমবার থেকে আবারও এই এলাকায় নৌজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল থেকে কয়েকশ স্টিল বডি আটকে রয়েছে। এই নদী দিয়ে যাদুকাটা থেকে বালু-পাথর নিয়ে সুরমা নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়। ক’দিন পরপর এমন জট তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ার গ্রামের 
বাসিন্দা রুকন উদ্দিন বলেন, দুপুর ১২টায় যাদুকাটা নদী থেকে দুই হাজার ফুট বালু নিয়ে রওনা হয়েছেন। তাদের গন্তব্য জামালগঞ্জ। বিকেল ৪টায় রক্তি নদীর দুর্লভপুর এলাকায় এসে দেখি শতাধিক নৌকা আটকে আছে। এখনও নৌজটে আটকে রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না তাদের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যবসী ও নৌকার শ্রমিকরা।
একই উপজেলার দক্ষিণকোলের বাসিন্দা মো.

নাসিম উদ্দিন বললেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে ২৬ ফুট বালু নিয়ে নদীতে আটকে আছি। কখন জট ছুটবে, জানি না। এরকম ক’দিন পরপরই দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ