Samakal:
2025-05-01@00:46:59 GMT

ত্বকের যত্নে আলুর রস

Published: 8th, April 2025 GMT

ত্বকের যত্নে আলুর রস

আলু শুধু রান্নার দরকারি উপকরণ নয়, এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক বিউটি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গোপন রহস্যও বলা যায়। আলুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, পটাশিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, দাগ কমায় এবং ত্বককে রাখে কোমল ও সতেজ। 
ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে
আলুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও ক্লান্তিভাব দূর করে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তোলে। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে; ফলে ত্বকে আসে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য।
ব্রণের দাগ ও দাগছোপ দূর করে
আলুর রসে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ বা পিম্পলের পর দাগ পড়ে গেলে আলুর রস নিয়মিত ব্যবহার করলে তা ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।
চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে
আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগ ও ফোলাভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। তুলায় করে ঠান্ডা আলুর রস নিয়ে ১৫ মিনিট ধরে চোখের নিচে রেখে দিলে চোখের ক্লান্তি কমে ও দৃষ্টিতে সতেজতা ফিরে আসে।
ত্বকের বয়সের ছাপ কমায়
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আলুর রস ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা বলিরেখা ও ফাইন লাইনস কমিয়ে দিতে সক্ষম। এতে ত্বক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টানটান ও যৌবনদীপ্ত থাকে।
ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করে
আলুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ও রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১টি কাঁচা আলু গ্রেট করে রস ছেঁকে নিন। তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল মিলবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে আলুর রস হতে পারে আপনার রোজকার বিউটি রুটিনের একটি কার্যকর অংশ।
চাইলে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এর সঙ্গে লেবুর রস, মধু বা দুধ মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন । 
তবে সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে টেস্ট করে নিতে হবে। আপনার ত্বকে অ্যালার্জি হলে ব্যবহার বন্ধ করুন। 
আলুর রস একটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী প্রাকৃতিক সমাধান; যা আপনার ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করা যায়। v
ছবি: আর্কাইভ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত বক ব যবহ র কর ক র যকর ত বক র দ র কর র ত বক আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ