Samakal:
2025-08-01@04:42:02 GMT

বৈশাখের কয়েক পদ

Published: 8th, April 2025 GMT

বৈশাখের কয়েক পদ

আসছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের নতুন দিনটি বরণ করে নিতে বাঙালিয়ানা পোশাকের সঙ্গে চলে খাবারের রকমারি আয়োজন। পহেলা বৈশাখে ঘরে তৈরি করতে পারেন এমন কয়েক পদ খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মিতা আজহার ও আফরোজা খানম মুক্তা

ইলিশ মাসালা
উপকরণ: ইলিশ মাছ ৪ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টকদই ২ টেবিল চামচ, চিনি সামান্য, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচামরিচ ৪টি, তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ বাদে সব উপকরণ দিয়ে মাছ ম্যারিনেট করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এবার চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তেল দিন, গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে ম্যারিনেট করা মাছ দিয়ে রান্না করুন। উল্টে দিন, আধা কাপ পানি দিন, কাঁচামরিচ ফালি করে দিন, তেল ওপরে ভেসে এলে নামিয়ে নিন। ভাত ও পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার ইলিশ মাসালা।

কাঁচা আমে টেংরা মাছের ঝোল 
উপকরণ: টেংরা মাছ ১০টি, কাঁচা আম ২টি, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া সামান্য, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া সামান্য, পাঁচফোড়ন গুঁড়া চা চামচের চার ভাগের ১ ভাগ, কাঁচামরিচ ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ কেটে ধুয়ে নিন। আম কেটে ফালি করে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে গরম হলে রসুন কুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভেজে অল্প একটু পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন। এবার পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও কাঁচামরিচ বাদে একে একে বাকি সব উপকরণ দিয়ে কষিয়ে পানি দিয়ে ঝোল ঝোল করে রান্না করুন। পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিন। এভাবে তৈরি করে নেন কাঁচা আমে টেংরা মাছের ঝোল।

রসগোল্লা 
উপকরণ: ১.

ছানা–২০০ গ্রাম, ২. সুজি–১ চা চামচ, ৩. ময়দা–৩ চা চামচ, 8. এলাচ গুঁড়া–১ চিমটি, ৫. চিনি অর্ধেক চা চামচ, ৬. সিরা চিনি–২৫০ গ্রাম, ৭. পানি দেড় কাপ।
প্রণালি: ১ লিটার তরল দুধ ফুটে উঠলে টক দই বা লেবুর রস বা সিরকা দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। পরে চালনিতে পাতলা কাপড় রেখে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছানা, সুজি, ময়দা, চিনি, এলাচ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে তেল মাখিয়ে ১৬টি ভাগ করে মিষ্টি বা বল বানিয়ে নিন। চিনি, পানি একসঙ্গে জাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। সিরা ফুটে উঠলে সব মিষ্টি ছেড়ে চুলার তাপ বাড়িয়ে ১০ মিনিট ঢাকনাসহ রান্না করুন। পরে চুলার তাপ মিডিয়াম করে ঢাকনাসহ ২০ মিনিট রান্না করুন। চুলা থেকে নামিয়ে সিরার ভেতর ৮-১০ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল রসগোল্লা।

শুঁটকি ভর্তা 
উপকরণ: টেংরা, পুঁটি, ছোট মাছের শুঁটকি ১ কাপ, পেঁয়াজ টুকরো করে কাটা ২টি, রসুনের কোয়া 
৬/৭টি, কাঁচামরিচ ৭/৮টি, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে রসুন, পেঁয়াজ একটু ভেজে নিন। এবার কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিন। ওই প্যানে শুঁটকি ভেজে নিন। লবণ দিয়ে পাটায় বেটে অথবা ব্ল্যান্ডারে অল্প সময় ব্ল্যান্ড করে নিন। তৈরি হয়ে গেল শুঁটকি ভর্তা। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার ঝাল ঝাল শুঁটকি ভর্তা।

নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: নারিকেল ২টা, গুড় বা চিনি ১ কাপ, এলাচ ও দারচিনি ২/৩ পিস করে, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, মুড়ি বা চাল ভাজা গুঁড়া আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। কোরানো নারকেল, গুড়, চিনি, এলাচ ও দারচিনি একসঙ্গে মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। পরে চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে নাড়াচাড়া করে এমন অবস্থায় নামাতে হবে যেন নারকেল ও গুড় বা চিনি আঠালো হয়ে আসে। পরে গুঁড়া দুধ ও মুড়ি বা চাল ভাজা গুঁড়ো দিয়ে আবারও নেড়ে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে গরম গরম গোল করে নাড়ু বানিয়ে মুড়ির গুঁড়োয় গড়িয়ে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল নারকেলের নাড়ু। 

শজিনা ডাঁটায় মসুর ডাল 
উপকরণ: শজিনা ডাঁটা ১ আঁটি, মসুর ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুন কুচি ১ টেবিলে চামচ, কাঁচামরিচ ৪/৫ টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: শজিনা ডাঁটা টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিন। মসুর ডাল ধুয়ে নিন। এবার চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে তেল দিন, গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে বাদামি রং হলে শজিনা দিয়ে মসুর ডালসহ একে একে বাকি উপকরণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরিমাণমতো পানি দিন, শজিনা ডাঁটা ও ডাল সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে মজা শজিনা ডাঁটার মসুর ডাল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ খ উৎসব লবণ স ব দমত

এছাড়াও পড়ুন:

৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।

আরো পড়ুন:

নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”

খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”

প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”

গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের কাছে তেল বিক্রি করতে পারে পাকিস্তান, খোঁচা দিলেন ট্রাম্প
  • কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর ডিনার, গুঞ্জন
  • শিক্ষার্থী সাজিদ স্মরণে ইবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন
  • ৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী