স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সংশোধিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৫ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ৪৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত রোববার এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের রাজস্ব খাতভুক্ত এসব শূন্য পদে অনলাইনে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের গত ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/০৩ জুন ২০২৪ তারিখের ৫৯.

০০.০০০০.১০৪. ১১.০০১.২৩.৭৯৬ নম্বর স্মারকে জারিকৃত (০৭ জুন-২০২৪ তারিখ প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে যেসব প্রার্থী এর আগে আবেদন করেছেন, তাঁদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই; তাঁদের প্রার্থিতা বহাল থাকবে।

পদের নাম, গ্রেড ও বেতন স্কেল

১. পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা:

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ এবং বাংলা ৪৫ শব্দসহ ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৩০ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে ২৫ শব্দ থাকতে হবে।

গ্রেড: ১৩

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

২. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা:

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বেতন গ্রেড: ১৪

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

৩. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা:

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন গ্রেড: ১৪

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

আরও পড়ুনওজোপাডিকোতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি৩০ মার্চ ২০২৫৪. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ১৬

শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ, বাংলায় ২০ শব্দসহ কম্পিউটারের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন গ্রেড: ১৬

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

৫. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ২০

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

বেতন গ্রেড: ২০

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আরও পড়ুনশেষে রোল খুঁজতে গিয়ে দেখি প্রথমটাই আমার১০ মার্চ ২০২৫আবেদন ফি

১ থেকে ৪ নম্বর পদের আবেদন ফি ১১২ টাকা। আর ৫ নম্বর পদের আবেদন ফি ৫৬ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা এ লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদ র ন ম সমম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা