নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে পালন করা হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ‘এসো হে বৈশাখ’ গান গেয়ে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়। শিশু একাডেমির আয়োজনে নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সকাল ৯টায় বের করা হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। এছাড়াও পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন বাংলা নববর্ষ পালনের এসব কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে নববর্ষ পালন করে। জেলার অন্যান্য উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়াও গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। বিভিন্ন সংগঠন দিনভর নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল নববর ষ গ প লগঞ জ গ প লগঞ জ নববর ষ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’

কক্সবাজার জেলার লোকসংগীত শিল্পী বুলবুল আক্তার। এই শিল্পী নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের নিজস্ব ভাষা, সুর ও সংস্কৃতি। কালো বোরকার ফ্যাশনে সাধারণ ও সরল চেহারার এই শিল্পীর দরদি কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, সমাজ ও প্রান্তিক জীবনের গল্প। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেয়েছেন ‘মধু হইহই বিষ খাওয়াইলা’ ও ‘হালাসান গলার মালা’।

রসিক আড্ডার আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে এই আয়োজন চলে। দুপুরে বৃষ্টি এলে ভিজে বৃষ্টিবিলাসে মেতে ওঠেন আয়োজক এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকে।

অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া। দূর থেকে মঞ্চে তাকালে বাঙালির ঐতিহ্যই চোখে ভেসে ওঠে। মঞ্চ তৈরি করা হয় প্রতীকী গ্রামবাংলার দৃশ্য কলাগাছ ও খড়ের ঘর দিয়ে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের বর্ষবরণকে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে ছিল ধামাইল নাচ, চাকমা, মারমা ও খুমি জনগোষ্ঠীর নৃত্য ও আধুনিক নৃত্য। ব্যান্ডের মধ্যে ছিল ফিরোজ জঙ, আপনঘর, Sacrament-গারো ব্যান্ড, ব্যান্ড লাউ।

এই আয়োজনে গ্রামীণমেলায় ছিল নাগরদোলা, বানরখেলা, রণপা, বায়োস্কোপ ও পুতুলনাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের খাবার ও পোশাকের স্টল ছিল।  

আয়োজকদের একজন নাহিয়ান ফারুক বলেন,  রসিক আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পাঠ ও তা চর্চা করে। রসিক আড্ডার তিনটি ম্যাগাজিন রণপা, কলন্দর ও সিনেযোগ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি–নির্ভর আলোচনা করে এবং তা জনপরিসরে ফুটিয়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’
  • উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায়  ৮ মে
  • সিডনিতে প্রতীতির বর্ষবরণে বাঙালিয়ানার জয়গান
  • ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম
  • দৃশ্যপটে ‘আনন্দ’, মঙ্গল কোথায়
  • যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের