পয়লা বৈশাখে মনের ইচ্ছা প্রাণ খুলে লেখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের দিকের দেয়ালে ‘ভালো কাজের হালখাতা' নাম দিয়ে ডিজিটাল ব্যানার রাখা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা, ডিজিটাল ব্যানারে যার যার খুশি মতো লিখছেন।

আরো পড়ুন:

ডিএসসিসির বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ, বৈষম্যহীনতার বার্তা

সেনাপ্রধানের ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন

ব্যানারের ওপরের দিকের মাঝখানে লেখা ‘ভালো কাজের হালখাতা'। আর তার বাঁ পাশে লেখা ‘যাহা পাইতে চাই’। ডান পাশে লেখা ‘যাহা হারাইতে চাই’। নিচের দিকে সাধারণ দর্শনার্থীদের মনের কথা লেখার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে। লেখার জন্য দুটি মার্কারও রাখা হয়েছে। 

সোমবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, একঝাঁক দর্শনার্থী ব্যানারে লিখছেন, যা খুশি তাই‌ লিখছেন। সেখানে ভিড় কোনোভাবেই শেষ হচ্ছিল না।

ব্যানারের ‘যাহা কিছু পাইতে চাই’ অংশে বেশ কিছু লেখা নজর কেড়েছে। এসব লেখার মধ্যে রয়েছে, ‘ইউনূস সরকারকে আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই’, ‘হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘হাসিনা-মোদীর বিয়ে চাই’, ‘উন্নত মানসিকতার ভালো সমাজ চাই’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘কুয়েটে রাজনীতি বন্ধ চাই’, ‘নববর্ষ উপলক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার চাই’।

আরো লেখা দেখা গেছে সেখানে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘বউ হতে চাই’। কেউ লিখেছেন, ‘সুন্দর বউ চাই’, ‘হ্যান্ডসাম স্বামী চাই’, ‘কুমিলৃলা বিভাগ চাই’।

‘যাহা কিছু হারাইতে চাই’ অংশের উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছে- ‘পুরাতন গাধা দলগুলো থেকে মুক্তি চাই’, ‘জুলাই আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে কামড়াকামড়ি বন্ধ চাই’, ‘ইসরায়েলের ধ্বংস চাই’, ‘আওয়ামী লীগ চাই না’। এমন অনেক লেখা রয়েছে সেখানে।

ব্যানারে লিখছিলেন এমন একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “এখন তো শোভাযাত্রাটি ঐতিহাসিক হয়ে গেল। এ ধরনের আরো মৌলিক জিনিস আছে বলে আমার ধারণা। প্রশাসনের উচিত হবে এমন উদ্যোগ আরো নেওয়া।”

ঢাকা/সৌরভ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পয়ল ব শ খ নববর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই 

ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ