টিএসসিতে ‘ভালো কাজের হালখাতায়’ লেখা মনের কথা
Published: 14th, April 2025 GMT
পয়লা বৈশাখে মনের ইচ্ছা প্রাণ খুলে লেখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের দিকের দেয়ালে ‘ভালো কাজের হালখাতা' নাম দিয়ে ডিজিটাল ব্যানার রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা, ডিজিটাল ব্যানারে যার যার খুশি মতো লিখছেন।
আরো পড়ুন:
ডিএসসিসির বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ, বৈষম্যহীনতার বার্তা
সেনাপ্রধানের ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন
ব্যানারের ওপরের দিকের মাঝখানে লেখা ‘ভালো কাজের হালখাতা'। আর তার বাঁ পাশে লেখা ‘যাহা পাইতে চাই’। ডান পাশে লেখা ‘যাহা হারাইতে চাই’। নিচের দিকে সাধারণ দর্শনার্থীদের মনের কথা লেখার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে। লেখার জন্য দুটি মার্কারও রাখা হয়েছে।
সোমবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, একঝাঁক দর্শনার্থী ব্যানারে লিখছেন, যা খুশি তাই লিখছেন। সেখানে ভিড় কোনোভাবেই শেষ হচ্ছিল না।
ব্যানারের ‘যাহা কিছু পাইতে চাই’ অংশে বেশ কিছু লেখা নজর কেড়েছে। এসব লেখার মধ্যে রয়েছে, ‘ইউনূস সরকারকে আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই’, ‘হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘হাসিনা-মোদীর বিয়ে চাই’, ‘উন্নত মানসিকতার ভালো সমাজ চাই’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘কুয়েটে রাজনীতি বন্ধ চাই’, ‘নববর্ষ উপলক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার চাই’।
আরো লেখা দেখা গেছে সেখানে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘বউ হতে চাই’। কেউ লিখেছেন, ‘সুন্দর বউ চাই’, ‘হ্যান্ডসাম স্বামী চাই’, ‘কুমিলৃলা বিভাগ চাই’।
‘যাহা কিছু হারাইতে চাই’ অংশের উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছে- ‘পুরাতন গাধা দলগুলো থেকে মুক্তি চাই’, ‘জুলাই আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে কামড়াকামড়ি বন্ধ চাই’, ‘ইসরায়েলের ধ্বংস চাই’, ‘আওয়ামী লীগ চাই না’। এমন অনেক লেখা রয়েছে সেখানে।
ব্যানারে লিখছিলেন এমন একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “এখন তো শোভাযাত্রাটি ঐতিহাসিক হয়ে গেল। এ ধরনের আরো মৌলিক জিনিস আছে বলে আমার ধারণা। প্রশাসনের উচিত হবে এমন উদ্যোগ আরো নেওয়া।”
ঢাকা/সৌরভ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পয়ল ব শ খ নববর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক