Risingbd:
2025-06-15@09:56:50 GMT

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

Published: 14th, April 2025 GMT

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

স্টলে স্টলে সাজানো দেশীয় পিঠা, বাহারি ধরনের নাস্তা, মিষ্টি, পানীয়সহ নানা ধরণের খাবার। এ যে বাঙালী ঐতিহ্যের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।

মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশীয় খেলাধুলাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করে নেয় কুবি।

আরো পড়ুন:

২৩ দিন পর আবারো প্রাণোচ্ছল কুবি

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক কুবি শিক্ষার্থীদের

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

শোভাযাত্রা শেষে ছেলেদের মোরগ লড়াই ও মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন  সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি এবং নাটিকা। এছাড়াও, নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে পিঠাপুলির স্টল। যেখানে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠা যেমন পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিতই ও মালপোয়া পরিবেশন করা হচ্ছে।

নববর্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রাহিম বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আমরা এ বছর নববর্ষ উদযাপন করছি। ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ধারণ করে র‍্যালি করেছি। আমাদের ক্যাম্পাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিল। এখন আমরা স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।”

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “আমাদের বাঙালিদের জন্য এবারের পহেলা বৈশাখ দেশ গড়ার এক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। গত বছর ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত হয়ে, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার- সেটি এই নতুন বছরের প্রভাতে হতে পারে এক ভিন্ন শপথের সূচনা। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে আমরা যেন সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এ দেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। এই উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। অল্প সময়ের মধ্যে এত সুন্দর ও প্রাণবন্ত আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। নানা রকমের স্টল এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন এই উৎসবকে আরও বর্ণিল করে তুলেছে। আমরা সকল স্টল ঘুরে দেখবো এবং নববর্ষের এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান

ঢাকার ছবি নিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসানের এমন দৌড়ঝাপ বহুদিন দেখা যায়নি। কেবল কলকাতার ছবি নিয়ে তাঁর সাফল্য ও দৌড়ঝাপ বিগত কয়েক বছর দেখেছেন দর্শক। এবার চিত্র বদলেছে। ঈদুল আজহায় দেশের সিনেমা হলে একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব। ঈদের সকাল থেকে শুরু করে আজও, দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা হলে ছুটে চলেছেন জয়া। ছবির সঙ্গে দর্শকের হৃদয়ের সংযোগটা যেন নিজ চোখেই দেখছেন তিনি। 

ঈদুল আজহার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই তাণ্ডবের প্রচারণায় দেখা গেছে জয়াকে। সিনেমা মুক্তির পর সে প্রচারণা বাড়িয়েছেন বহুগুণ। ‘তাণ্ডব-এর প্রচারে গিয়ে জয়া বলেন, ঈদে যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন ঈদের আবহটাই যেন সেই সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়। ঈদের সকাল থেকেই সবাই খবর নেয়, সিনেমাটি কেমন চলছে। জানলাম, তাণ্ডব দেখতে সকাল থেকেই হলে দর্শকের ভিড় লেগে আছে। সিনেমাটি নিয়ে মানুষ রীতিমতো উন্মাদ হয়ে উঠেছে। এটাই তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

তাণ্ডব সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমাটিতে  তিনি অভিনয় করেছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে আরও রয়েছেন আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এজাজুল ইসলাম, সুমন আনোয়ার ও মুকিত জাকারিয়ার মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা।

দর্শকের সঙ্গে একত্রে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি নিজেই দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করছি। একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি, পুরো টাকাটা উসুল! সিনেমা হলে যখন চারদিক থেকে শিস ও হাততালির শব্দ উঠছিল, তখনই বুঝে গেছি, তাণ্ডব মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, তাণ্ডব-এর মূল শক্তি তার গল্প। আমাদের টিম ছিল অসাধারণ। পর্দার সামনেও যেমন, তেমনি পেছনেও সবাই একদম হৃদয় দিয়ে কাজ করেছে। আমরা নিজেরাও ভীষণ আনন্দ নিয়ে ছবিটি করেছি। এরই মধ্যে দর্শকদের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মন ভরে গেছে।”

অন্যদিকে, ‘উৎসব’সিনেমার প্রচারেও পিছিয়ে নেই জয়া আহসান।  এ ছবিটিও দর্শকের সঙ্গে দেখার জন্য গেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে বিনিময় করেছেন কুশল, শুনেছেন ভালো লাগা-মন্দলাগা। 
জয়া বলেন,  উৎসব দেখার পর দর্শকেরা নিজেরাই বলছেন– এই সিনেমাটি অনেক দিন মানুষের মনে থাকবে। ছবিটিতে যে শিল্পীরা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি নিজে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে ছুটে চলা একজন শিল্পী; চঞ্চল ব্যস্ত একজন মানুষ, আর অপি তো যে কোনো কাজ করেন না-যতক্ষণ না সেটা তাঁর পছন্দ হয়। এতগুলো ভিন্নধর্মী শিল্পীকে এক ফ্রেমে আনা গেছে কেবল পরিচালকের মুনশিয়ানায়। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটির যাত্রা আরও দীর্ঘ হবে।’

জয়ার দুই ছবি দেখতেই দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। টিকিট পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গটি সামনে এনে জয়া বলেন, আমি নিজেই সিনেমা দেখতে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেটা মনে হলে লজ্জাও লাগে। আশা করি, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য টিকিট পাওয়ার সুযোগ আরও সহজ করে তুলবেন।’

ঈদের দুই ভিন্ন স্বাদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’দুটোতেই জয়াকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন আবহে। অথচ, প্রতিটি চরিত্রেই যেন তাঁর এক নিজস্ব ছাপ, এক অনবদ্য সত্তা। সিনেমা হলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে, তাণ্ডবের ভরপুর দর্শকদের উপস্থিতি। আর ধীরে ধীরে জমে উঠছে উৎসব সিনেমাটিও।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • হু হু করে বাড়ছে অপরিকল্পিত ভবন, মিলছে না ময়লা ফেলার জায়গা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান
  • ‘উৎসব’ নিয়ে আগ্রহ দর্শকের, শো বাড়ল দ্বিতীয় সপ্তাহে