তোলারাম কলেজে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের বাংলা বর্ষপঞ্জি বিতরণ
Published: 15th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি তোলারাম কলেজ (সতক) শাখার উদ্যোগে বাংলা বর্ষপঞ্জি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১লা বৈশাখ রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব প্রফেসর বিমল চন্দ্র দাস, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, শের-ই-বাংলা ছাত্রাবাসের সম্মানিত সুপার জনাব মোঃ আনারুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ মজনুর রহমান সহ অন্যান্য সম্মানিত শিক্ষক ও নেতৃবৃন্দের মাঝে বাংলা বর্ষপঞ্জি বিতরণ করা হয়।
বর্ষপঞ্জি বিতরণ কর্মসূচীতে মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর শাখা সভাপতি এইচএম শাহীন আদনান, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নোমান আহমদ।
এসময় উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চেতনা ও সময়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করায় এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বাংলা বর্ষপঞ্জি বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নববর্ষের আনন্দঘন পরিবেশে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি এক গভীর দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে।
এ সময় বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন, যারা এ উদ্যোগকে সম্প্রীতি ও সম্মিলনের প্রতীক হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সতক শাখা সভাপতি শাহ্ মুহাম্মদ ছগির হোসেন জানান, “আমরা চাই আমাদের শিক্ষাঙ্গনে বাংলা নববর্ষ শুধু উৎসব নয়, বরং একটি সচেতন সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতীক হয়ে উঠুক। বর্ষপঞ্জি বিতরণ তারই একটি প্রয়াস।”
এই কার্যক্রম সরকারি তোলারাম কলেজের নববর্ষ উদযাপনকে করেছে আরও অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল জ নববর ষ ইসল ম ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে ইরানের নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।