৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ না করেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় আন্দোলনে নেমেছেন প্রার্থীরা। ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। সন্ধ্যায় তারা ‘মার্চ টু যমুনা’ শুরু করেন। প্রার্থীরা পদযাত্রা করেন প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার দিকে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সালেহিন নামে একজন জানান, পিএসসির সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সুরাহা হয়নি। কমিশন বলছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপানো ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তা পেছানো যাবে না। 

গত রোববার কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ থেকে ১৯ মে এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পরীক্ষা ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে যারা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত উভয় পরীক্ষার প্রার্থী, তাদের ২২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। এই স্থগিত পরীক্ষাগুলোর পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা একাধিকবার স্থগিত হয়েছে। প্রথম দফা মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ৮ মে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তা দু’বার স্থগিত হয়। এই বিসিএসে প্রায় ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন ৩ হাজার ৯৩০ জন। কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত ফল জুন মাসে প্রকাশ করা হবে।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে অংশ নিয়েছিলেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন। প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৬৩৮ জন এবং পরে আরও ১০ হাজার ৭৫৯ জনকে উত্তীর্ণ করে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। প্রার্থীদের একটি অংশ বর্তমানে লিখিত পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স এস ল খ ত পর ক ষ র র ল খ ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে যা করতে চায় পিএসসি

৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার যে দাবি ছিল চাকরিপ্রার্থীদের, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

গত শনিবার পিএসসি সংস্কারে চাকরিপ্রার্থীদের আট দফা দাবির বিষয়ে যে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেখানে এ বিষয়ও রয়েছে। পিএসসি বলছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার বিষয়টি একান্তই সরকারের এখতিয়ারাধীন একটি বিষয়।

তবে পিএসসি মনে করে, এ রকম করা হলে ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসের প্রার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ফলে তাদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনবিসিএসে ১০০ নম্বরের ভাইভা, কার্যকর কোন বিসিএসে২৭ এপ্রিল ২০২৫

বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের বিষয়ে প্রার্থীদের আরেকটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিধান কার্যকর হবে। ৪৫তম বিসিএস থেকেই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০–এর পরিবর্তে ১০০ নির্ধারণ করার প্রস্তাব ২০২৪ সালের নভেম্বরে কমিশন কর্তৃক সরকারের কাছে প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের বিবেচনায় ৪৭তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৯ ঘণ্টা আগে

আরেকটি দাবির বিষয়ে পিএসসি জানিয়েছে, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার জন্য কমিশন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করার জন্য সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিযোগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪, সংশোধন করার প্রয়োজন হবে এবং পিএসসির কিছু অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এসব বিষয়ে পিএসসি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন৪০৪ পদে সরকারি চাকরি, আবেদন শেষ আগামীকাল৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে যা করতে চায় পিএসসি
  • ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত, জানাল পিএসসি