পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে চিকিৎসক, নার্স ও শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয় এবং বহির্বিভাগের সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ রোগীরা। 

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডাক্তার এ.

এম.এস শামীম আল আজাদকে ওএসডি করার প্রতিবাদে এবং আদেশ প্রত্যাহার, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করার দাবীতে আন্দোলন করেন তারা।

এ সময় দাবিগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইন্টার্ন ডাক্তার সাদিয়া রহমান রিমি, তিথি রানী ও শিক্ষার্থী তহিদুল ইসলাম, মো. তাসলিম রহমান, সুমাইয়া আক্তার মারিয়া প্রমুখ।

আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, যতদিন পর্যন্ত ডা. শামীম আল আজাদের  ওএসডি’র আদেশ প্রত্যাহারসহ তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ আশিক গত ১৪ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলার সময় পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে, এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগে তুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল ভাঙচুর করে এবং পরদিন শিক্ষার্থীরা দুমকীর লেবুখালীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বরিশাল-দুমকী-বাউফল আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।

এদিকে ১৬ এপ্রিল বিকেলে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময় তারা দাবি করেন চিকিৎসকরা রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। কিন্তু রোগীর মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল, যা র‌্যাগিংয়ের কারণে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তারা দাবি করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ওই শিক্ষার্থী কোনোভাবে সহিংস আচরণের শিকার হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা মনে করেন মৃত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ