পটুয়াখালী মেডিকেলের বহির্বিভাগে তালা, চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 17th, April 2025 GMT
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে চিকিৎসক, নার্স ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয় এবং বহির্বিভাগের সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ রোগীরা।
জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডাক্তার এ.
এ সময় দাবিগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইন্টার্ন ডাক্তার সাদিয়া রহমান রিমি, তিথি রানী ও শিক্ষার্থী তহিদুল ইসলাম, মো. তাসলিম রহমান, সুমাইয়া আক্তার মারিয়া প্রমুখ।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, যতদিন পর্যন্ত ডা. শামীম আল আজাদের ওএসডি’র আদেশ প্রত্যাহারসহ তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ আশিক গত ১৪ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলার সময় পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে, এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগে তুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল ভাঙচুর করে এবং পরদিন শিক্ষার্থীরা দুমকীর লেবুখালীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বরিশাল-দুমকী-বাউফল আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে ১৬ এপ্রিল বিকেলে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময় তারা দাবি করেন চিকিৎসকরা রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। কিন্তু রোগীর মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল, যা র্যাগিংয়ের কারণে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তারা দাবি করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ওই শিক্ষার্থী কোনোভাবে সহিংস আচরণের শিকার হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা মনে করেন মৃত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকর
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।