‘দুনিয়ায় শুধু একজনই জোরে বল করে না’, রানাকে নিয়ে উইলিয়ামস
Published: 18th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২০ এপ্রিল, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রস্তুতি পর্বে ব্যস্ত দুই দলেরই কার্যক্রমে কিছুটা বাধা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই সফরকারীদের।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস জানালেন, কঠোর প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছে তারা। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানার গতি কিংবা আগ্রাসন নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
উইলিয়ামস বলেন, ‘রানার গতি অবশ্যই ভালো, তবে এখনকার দিনে অনেক বোলারই জোরে বল করে। দুনিয়ায় তো শুধু একজনই জোরে বল করে না। আমরা এসবের জন্য প্রস্তুত। আমাদের বোলিং মেশিন আছে, যেটা মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে বল করতে পারে।’
বৃষ্টিপাত নিয়ে তার অভিমতও ইতিবাচক, ‘গতকাল অনুশীলনের সময় বৃষ্টিটা বেশ উপভোগ করেছি। এটা আমাদের প্রস্তুতিরই অংশ। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই মানিয়ে নেওয়াটাই ভালো।’
সিলেটের পিচ প্রসঙ্গে উইলিয়ামস বলেন, ‘এবার উইকেট আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন মনে হচ্ছে। আগেরবার লো ও স্লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়েছিলাম। এবার উইকেটে ঘাস দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে পেসারদের জন্য সহায়ক হতে পারে। পরিসংখ্যানও বলছে, এখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সময়ই পেসারদের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ থাকে।’
পেস লড়াইয়ে বাংলাদেশকে টেক্কা দিতে নিজেদের স্কোয়াড নিয়েও আত্মবিশ্বাসী উইলিয়ামস। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর নিয়াউচি ও ট্রেভর গুয়ান্দুর মতো স্কিড বোলাররা রয়েছে। ওদের দারুণ দক্ষতা আছে। আশা করছি দারুণ একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত ত
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিগত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলল।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।