২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
Published: 18th, April 2025 GMT
লিওনেল মেসি কি আরো একটি বিশ্বকাপ খেলবেন? এই প্রশ্ন নিয়মিত ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। অবশেষে মেসি মুখ খুললেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, সবকিছু নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থা ও ফিটনেসের উপর।
‘‘সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের কথা ভাবলে মনে হয় অনেক দেরি আছে। কিন্তু সময়টা খুব দ্রুতই চলে যাবে, তাই না?’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আমার জন্য এই বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেলতে পারলে এবং ভালো ফিট থাকলে, তখনই আমি ভাববো বিশ্বকাপ নিয়ে। গত বছর কয়েকটা ম্যাচ খেলেই চোটে পড়েছিলাম। পুরো মৌসুম খেলতে পারিনি। এবার প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। আমি ভালো অনুভব করছি।’’
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে ১১ জুন। এই আসর অনুষ্ঠিত হবে উত্তর আমেরিকার তিনটি দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। যেহেতু মেসি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রেই খেলছেন, তাই জায়গাটি তার জন্যও খুব পরিচিত।
আরো পড়ুন:
ইয়ামালকে নিয়ে মেসি: সে এখনই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন
মেসির দাবি প্রতিনিয়ত মান বাড়ছে মেজর লিগের
বর্তমানে মেসির বয়স ৩৮। গত দেড় বছরে তার ইনজুরির হার বেড়েছে। যেটা তার বয়সী খেলোয়াড়দের জন্য স্বাভাবিক। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা ফাইনালেও তিনি মাঝপথে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
তবে চলতি মৌসুমে মেসির পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। ইতোমধ্যে তিনি ৭টি ম্যাচে ৩টি গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। গত বছর ইন্টার মিয়ামিকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সাপোর্টার্স শিল্ড-২০২৪ জয়ে। যদিও মূল কোনো ট্রফি তারা জিততে পারেনি।
মেসি বলেন, ‘‘এটা অনেক লম্বা মৌসুম। জুন মাসে ক্লাব বিশ্বকাপও আছে। অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। তাই আমি দিন দিন ভাবছি। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করছি না। নিজেকে শারীরিকভাবে কেমন লাগছে, সেটাই আসল। নিজেকেই সৎ থাকতে হবে।’’
ইন্টার মায়ামিতে মেসির পুরনো বন্ধু লুইস সুয়ারেজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমরা অবসর নেওয়ার বিষয়ে মাঝে মাঝে মজা করি। তবে মেসির মধ্যে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা এখনও স্পষ্ট।’’ সুয়ারেজ আরও জানান, জাতীয় দল থেকে দূরে থাকলেও মেসির মাঝে এখনো আগ্রহটা টিকে আছে।
মেসি তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন ২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে। এরপর খেলেছেন ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ এবং শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে কাতারে এনে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে— মেসিকে আমরা কি আবারও বিশ্বমঞ্চে দেখতে পাব?
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থনীতির আকারে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দশম
এশিয়ার মধ্যে দশম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ৯টি দেশ। এশিয়ায় শীর্ষস্থানে আছে চীন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়ায় জিডিপির আকারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইপে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘বেসিক স্ট্যাটিসটিকস ২০২৫’ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এডিবি। এতে মোট ৪৬টি দেশের জিডিপির আকারের হিসাব রয়েছে। অবশ্য এ তালিকায় জাপান নেই। জাপানের তথ্য বিবেচনায় নিলে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ১১তম।
এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, সাময়িক হিসাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। চীনের জিডিপির আকার প্রায় ১৮,৯৫৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির জিডিপির আকার ৩,৯১১ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে আছে কোরিয়া। গত বছর কোরিয়ার জিডিপি ছিল ১,৮৬৯ বিলিয়ন ডলারের।
চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি ১,৩৯৬ বিলিয়ন ডলারের। পঞ্চম স্থানে থাকা তাইপের জিডিপি প্রায় ৭৯৬ বিলিয়ন ডলারের। ৫৪৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি জিডিপির আকার নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপরে থাকা অন্য দেশগুলোর জিডিপির আকার থাইল্যান্ড ৫৪০ বিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনাম ৪৭৬ বিলিয়ন ডলার ও ফিলিপাইনের ৪৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত বছর সাময়িক হিসাবে জাপানের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪,০১০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান।