লিওনেল মেসি কি আরো একটি বিশ্বকাপ খেলবেন? এই প্রশ্ন নিয়মিত ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। অবশেষে মেসি মুখ খুললেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, সবকিছু নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থা ও ফিটনেসের উপর।

‘‘সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের কথা ভাবলে মনে হয় অনেক দেরি আছে। কিন্তু সময়টা খুব দ্রুতই চলে যাবে, তাই না?’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আমার জন্য এই বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেলতে পারলে এবং ভালো ফিট থাকলে, তখনই আমি ভাববো বিশ্বকাপ নিয়ে। গত বছর কয়েকটা ম্যাচ খেলেই চোটে পড়েছিলাম। পুরো মৌসুম খেলতে পারিনি। এবার প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। আমি ভালো অনুভব করছি।’’

২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে ১১ জুন। এই আসর অনুষ্ঠিত হবে উত্তর আমেরিকার তিনটি দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। যেহেতু মেসি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রেই খেলছেন, তাই জায়গাটি তার জন্যও খুব পরিচিত।

আরো পড়ুন:

ইয়ামালকে নিয়ে মেসি: সে এখনই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন

মেসির দাবি প্রতিনিয়ত মান বাড়ছে মেজর লিগের

বর্তমানে মেসির বয়স ৩৮। গত দেড় বছরে তার ইনজুরির হার বেড়েছে। যেটা তার বয়সী খেলোয়াড়দের জন্য স্বাভাবিক। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা ফাইনালেও তিনি মাঝপথে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

তবে চলতি মৌসুমে মেসির পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। ইতোমধ্যে তিনি ৭টি ম্যাচে ৩টি গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। গত বছর ইন্টার মিয়ামিকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সাপোর্টার্স শিল্ড-২০২৪ জয়ে। যদিও মূল কোনো ট্রফি তারা জিততে পারেনি।

মেসি বলেন, ‘‘এটা অনেক লম্বা মৌসুম। জুন মাসে ক্লাব বিশ্বকাপও আছে। অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। তাই আমি দিন দিন ভাবছি। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করছি না। নিজেকে শারীরিকভাবে কেমন লাগছে, সেটাই আসল। নিজেকেই সৎ থাকতে হবে।’’

ইন্টার মায়ামিতে মেসির পুরনো বন্ধু লুইস সুয়ারেজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমরা অবসর নেওয়ার বিষয়ে মাঝে মাঝে মজা করি। তবে মেসির মধ্যে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা এখনও স্পষ্ট।’’ সুয়ারেজ আরও জানান, জাতীয় দল থেকে দূরে থাকলেও মেসির মাঝে এখনো আগ্রহটা টিকে আছে।

মেসি তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন ২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে। এরপর খেলেছেন ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ এবং শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে কাতারে এনে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে— মেসিকে আমরা কি আবারও বিশ্বমঞ্চে দেখতে পাব?

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য

একাডেমিক মান ও উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা প্রকার সুযোগ প্রদান করে। জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর নানা প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি নেয় না। সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে এগিয়ে আছে জার্মানি।

অনেক টাকা খরচ ছাড়াই উচ্চমানের শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখন ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী শীর্ষ ১০টি জার্মান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ (টিইউএম)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪১তম অবস্থানে আছে। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অন্যতম বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। শিক্ষার্থীদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পথ নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

হাইলাইট:

বিস্তৃত পরিসরে শেখানো হয় ইংরেজি প্রোগ্রাম

বড় বড় শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে এ।

আরও পড়ুনফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আইইএলটিএস-টোয়েফল দরকার, বৃত্তিসহ আছে নানা সুযোগ, সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ১৪ আগস্ট ২০২৪

২. লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি, (এলএমইউ মিউনিখ)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬০তম অবস্থানে আছে। এলএমইউ মিউনিখ মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ন্যাচারাল সায়েন্স, মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য পরিচিত। উচ্চ একাডেমিক মান ও গবেষণার জন্য পরিচিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

হাইলাইট:

ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম

উচ্চ মানের গবেষণার সুবিধা

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে ।

৩. হাইডেলব্যর্গ বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩তম অবস্থানে আছে। জার্মানির প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে মানবিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে।

হাইলাইট:

সমৃদ্ধ একাডেমিক ঐতিহ্য

ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্স সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি নেয় না

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • প্রধান উপ‌দেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়া‌তে ইসলামী
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আনচেলত্তির ব্রাজিল
  • প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে