পরিবেশ নিয়ে নবীজি(সা.) এর ১০ শিক্ষা
Published: 19th, April 2025 GMT
আধুনিক যুগে পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি নবীজির (সা.) জীবন ও হাদিস নিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায়—এসব সবুজ ভাবনার গভীরতর ভিত্তি ইসলামের মধ্যেই বহু আগে থেকে বিদ্যমান।
নবীজির (সা.) পরিবেশ-সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তিনি দুনিয়ার উপকারিতা ছাড়াও পরকালের সওয়াবের সঙ্গে এ বিষয়টি জুড়ে দিয়েছেন। নিচে মহানবীর (সা.
শেষ মুহূর্তে হলেও গাছ লাগাও
হজরত আনাস (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন ‘কিয়ামত কায়েম হওয়ার মুহূর্ত এসে পড়লেও যদি তোমার হাতে একটি খেজুর গাছের চারা থাকে, তবে তা রোপণ করে দাও।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১২,৪৯১)
এই হাদিসটি আমাদের শেখায়, জীবনের সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্তও একজন মুসলমানের দায়িত্ব রয়ে যায় পরিবেশের জন্য অবদান রাখার। গাছ লাগানোর মতো একটি ক্ষুদ্র কর্মও চিরস্থায়ী সওয়াব বয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন নবীজি (সা.)-এর কান্না২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গাছ লাগানো সদকা
হজরত আনাস (রা.) কাছ থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিস আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি একটি গাছ লাগায় বা কোনো ফসল বপন করে এবং তা থেকে যদি কোনো পাখি, মানুষ বা জন্তু খায়, তবে তা তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩২০; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১,৫৫২)
অর্থাৎ, গাছ বা ফসল রোপণ করা শুধু পার্থিব উপকারেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা সদকায়ে জারিয়া (অব্যাহত দান)-এর মর্যাদা পায়। মানুষ, পাখি বা পশু—যে-কেউ উপকৃত হলে মুসলমান এর জন্য সওয়াব অর্জন করে।
ইবাদতেও অপচয় নয়
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, একদিন নবীজি (সা.) হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। নবীজি (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এত অপচয় কেন?’ সা’দ বললেন, ‘অজুতে কি অপচয় হয়?’ নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ, এমনকি যদি তুমি প্রবাহমান নদীর থেকেও অজু করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ৭,০৬৫)
এই হাদিস শিখায়, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে সংযমী হওয়া জরুরি, এমনকি তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হলেও। যদিও অধিক পানি ব্যবহার করাকে অনেকে অপচয় বলে মনে না।
আরও পড়ুনজুরাইজ এবং তাঁর মা১১ এপ্রিল ২০২৫পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা ইমানদারের দায়িত্ব
হজরত মুআয (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সাধারণ) সতর্ক করে বলেছেন, ‘তিনটি কাজ থেকে সাবধান থেকো—যেগুলোর কারণে মানুষ অভিশপ্ত হয়: ১. এমন ছায়াযুক্ত স্থানে মলত্যাগ করা, যা মানুষ ব্যবহার করে, ২. চলাচলের পথের মধ্যে মলত্যাগ করা, ৩. পানি সংগ্রহের জায়গায় অশুচি করা।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৬)
এই হাদিস স্পষ্টভাবে পরিবেশ ও জনসাধারণের উপযোগিতার স্থানসমূহ রক্ষা করার নির্দেশনা দেয়। এ থেকে বোঝা যায়, ইসলাম শুধুই ব্যক্তি ইবাদতের শিক্ষা দেয় না, সামাজিক সচেতনতার দিকেও গুরুত্ব দেয়।
রাস্তা থেকে ক্ষতিকর বস্তু সরানো
হজরত আবু যার গিফারী (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘রাস্তা থেকে ক্ষতিকর বস্তু সরিয়ে দেওয়াও এক প্রকার সদকা।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১,০০৯)
এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর হাদিসটি আমাদের শেখায়—পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষুদ্র কাজগুলোও আল্লাহর দরবারে সদকা হিসেবে গণ্য হয়।
আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক কুস্তিগিরের গল্প১০ এপ্রিল ২০২৫প্রতিবেশীর খেয়াল রাখা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘আসল মুমিন সে নয়, যে নিজে পরিপূর্ণ খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ২০০১৭)
এই হাদিসটি আজকের ভোগবাদী সমাজে একটি অত্যন্ত মূল্যবান শিক্ষা। মুসলমানকে শুধু নিজের আরাম নয়, আশপাশের মানুষের অবস্থার প্রতিও সচেতন থাকতে হবে। একদিকে এই বার্তা খাদ্য অপচয় রোধে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যদিকে সমাজে মানবিক সহমর্মিতা গড়ে তোলে।
বস্তুর পুনর্ব্যবহার
নবীজি (সা.) ঘরে কী করতেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তাঁর প্রিয় স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.) বলেন: ‘তিনি নিজের জুতা মেরামত করতেন, কাপড় সেলাই করতেন এবং সাধারণ মানুষের মতো ঘরের যাবতীয় কাজ করতেন।’ (আল-আদবুল মুফরাদ, হাদিস: ৫৩৮)
এই হাদিস আমাদের শেখায়, কোনো বস্তু একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার শিক্ষা নবীজির (সা.) নয়। গৃহস্থালি কাজে অবহেলা করতেন না এবং ছেঁড়া কাপড় বা জুতা সেলাই করে পরতেন, ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নষ্ট করতেন না।
আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক ইহুদি ছেলের গল্প০৫ মার্চ ২০২৫অন্যায়ভাবে প্রাণী হত্যা না করা
নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত কারণ ছাড়া একটি চড়ুই পাখি বা তার চেয়েও বড় কোনো প্রাণী হত্যা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জবাবদিহির জন্য ডাকবেন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, ন্যায়সংগত কারণ কী?’ তিনি বললেন, ‘যদি কেউ তা খাওয়ার উদ্দেশ্যে জবাই করে, তাহলে ঠিক আছে; কিন্তু শুধু মাথা কেটে ফেলে দিলে, তা অন্যায়।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৪,৪৪৫)
এই হাদিস পরিবেশ-সচেতনতা ও প্রাণীর অধিকারের স্পষ্ট শিক্ষা দেয়। ইসলাম জীবন ও প্রাণের প্রতি অত্যন্ত সম্মান দেখায়—এমনকি একটি ছোট পাখির জীবনকেও।
পশুপাখির সেবাও পুণ্য
হজরত আবু হুরাইরা (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘এক ব্যক্তি একবার পথ চলতে গিয়ে তৃষ্ণায় কাতর হয়। সে একটি কূপ পেয়ে তাতে নেমে পানি পান করে। উঠে এসে সে দেখে, একটি কুকুর মাটি চেটে খাচ্ছে—তৃষ্ণায় কষ্ট পাচ্ছে। লোকটি ভাবল, ‘এই কুকুরটি তো আমার মতোই তৃষ্ণার্ত।’ সে আবার কূপে নেমে নিজের জুতা পানি দিয়ে ভরে মুখে করে তা তুলে এনে কুকুরকে পান করাল। আল্লাহ তার এই কাজকে পছন্দ করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, পশুপাখিকে পানি পান করানোতেও কি সওয়াব আছে?’ তিনি বললেন: ‘প্রত্যেক প্রাণীকে সেবা করায় সওয়াব আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩৬৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,২৪৪)
প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘এক নারী জাহান্নামে প্রবেশ করেছে একটি বিড়ালের কারণে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, খাবার দেয়নি; আবার ছেড়ে দেয়নি যাতে সে মাটি থেকে পোকামাকড় খেতে পারে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩৬৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,২৪২)
নিষ্ঠুরতা যেকোনো জীবের প্রতিই হোক না কেন, তার জন্য শাস্তি নির্ধারিত। ইসলাম শুধু উপকার নয়, অনিষ্ট থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেয়।
এই দশটি হাদিস চৌদ্দশো বছর আগের হলেও আজকের পরিবেশ সংকট ও সামাজিক বৈষম্যের যুগে আশ্চর্যরকম প্রাসঙ্গিক। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পানি অপচয় রোধ, প্রাণী সেবার গুরুত্ব ও সামাজিক সহমর্মিতা—সবকিছুতেই নবীজি (সা.) আমাদের সামনে রেখে গেছেন এক অনন্য সবুজ দর্শন। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি ইসলামের এই চেতনা অনুসরণ করলেই গড়ে উঠতে পারে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও কল্যাণময় সমাজ।
আরও পড়ুনরাগ সংবরণ করার উপায় নিয়ে মহানবী (সা.)–এর পরামর্শ২১ জানুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর ণ ত হ দ স এই হ দ স ম সলম ন ব যবহ র র জন য আম দ র বল ছ ন আল ল হ পর ব শ বলল ন করল ন করত ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
২২ ক্যাডার নিয়ে চলতেন স্বেচ্ছাসেবক দলের জিতু
বগুড়ায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও বাবাকে খুনে অভিযুক্ত জিতু ইসলাম দলীয় প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কথায় কথায় যাকে-তাকে অহেতুক মারধর করতেন। চলতেন ২২ জনের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে। তারা সবাই নানা অপকর্মে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি। তাঁর আয় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা থেকে। গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জিতু ফুলবাড়ী কারিগরপাড়ার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে। ২০০৩ সালে এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামকে খুন করেন। সেই মামলায় তাঁর ১৪ বছর সাজা হয়। সাজা খেটে তিন বছর আগে বের হন। এর পর এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। তাঁর বাহিনীতে যে ২২ জন সদস্য, তারা কেউ রাজনৈতিক দলের পদ-পদবিতে নেই। হত্যা মামলা ছাড়াও জিতুর বিরুদ্ধে একটি মাদক ও একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
ফুলবাড়ীর এক মুদি দোকানি বলেন, জিতু মাঝেমধ্যে তাঁর দোকান থেকে বাকি নিতেন। দু’বছরে বাকির পরিমাণ প্রায় ৪৮ হাজার টাকা হয়। তখন একদিন টাকা চান। এ কারণে জিতু তাঁকে মারধর করে নাকে খত নেন।
বৃন্দাবন এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝেমধ্যে জিতু তাঁর বাহিনী নিয়ে হাজির হতেন। মোটা অঙ্কের চাঁদা চাইতেন। চাঁদার কমপক্ষে অর্ধেক দিয়ে তবে নিস্তার পাওয়া যেত। এ ছাড়া ঈদে সেলামির নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হতো তাঁকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা চান জিতু। না দেওয়ায় দোকানে ককটেল হামলা করেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় আগস্টের পর জিতু বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছোট ভাই মিতুলও তাঁর বাহিনীর সদস্য।
জিতু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সহসাধারণ সম্পাদকের পদ পান। সন্ত্রাসী হয়ে দলের পদ পাওয়ায় এলাকায় তাঁকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পদ পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
এলাকার এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জিতুর কারণে আমরা মুখ খুলতে পারি না। সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে এলাকা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি পেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার নির্যাতনের শিকার অর্ধশতের কম হবে না। তার বখাটেপনার কারণে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হতো না।’
এক বছর আগে থেকে ফুলবাড়ির পাশেই শহরের শিববাটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন জিতু। সেই এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক শাকিল হোসেন। শাকিলের মেয়ে স্থানীয় ভান্ডারী সিটি বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এক মাস আগে ৫২ বছর বয়সী জিতু বিয়ের প্রস্তাব দেন শাকিলের মেয়েকে। বিষয়টি শাকিল জেনে রাগ করেন। জিতুর ওপর চড়াও হন। কিছুতে রাজি না হলে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন জিতু। তাঁর মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতেন। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে শাকিলকে পিটিয়ে খুন করেন জিতু ও তাঁর বাহিনী।
এ হত্যার ঘটনায় জিতুকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল রোববার বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন শাকিলের স্ত্রী মালেকা খাতুন। পুলিশ শনিবার রাতেই জিতু ও তাঁর সহযোগী মতি এবং বিপ্লবকে আটক করে।
সন্ত্রাসীকে দলের পদ দেওয়ার বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, ‘আমি জানতাম না, সে দলের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে। আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’ শনিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সই করা বিবৃতিতে জিতু ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, ‘এ মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জোবায়ের খান জানান, গতকাল জিতুসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা শাখা। গতকাল বিকেলে শহরের সাতমাথায় সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এতে সভাপতিত্ব করেন।