আধুনিক যুগে পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি নবীজির (সা.) জীবন ও হাদিস নিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায়—এসব সবুজ ভাবনার গভীরতর ভিত্তি ইসলামের মধ্যেই বহু আগে থেকে বিদ্যমান।

নবীজির (সা.) পরিবেশ-সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তিনি দুনিয়ার উপকারিতা ছাড়াও পরকালের সওয়াবের সঙ্গে এ বিষয়টি জুড়ে দিয়েছেন। নিচে মহানবীর (সা.

) এমন কিছু হাদিস তুলে ধরা হলো, যেগুলো চৌদ্দশো বছর আগের হলেও আজকের দিনেও একইরকম প্রাসঙ্গিক:

শেষ মুহূর্তে হলেও গাছ লাগাও

হজরত আনাস (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন ‘কিয়ামত কায়েম হওয়ার মুহূর্ত এসে পড়লেও যদি তোমার হাতে একটি খেজুর গাছের চারা থাকে, তবে তা রোপণ করে দাও।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১২,৪৯১)

এই হাদিসটি আমাদের শেখায়, জীবনের সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্তও একজন মুসলমানের দায়িত্ব রয়ে যায় পরিবেশের জন্য অবদান রাখার। গাছ লাগানোর মতো একটি ক্ষুদ্র কর্মও চিরস্থায়ী সওয়াব বয়ে আনতে পারে।

আরও পড়ুন নবীজি (সা.)-এর কান্না২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাছ লাগানো সদকা

হজরত আনাস (রা.) কাছ থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিস আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি একটি গাছ লাগায় বা কোনো ফসল বপন করে এবং তা থেকে যদি কোনো পাখি, মানুষ বা জন্তু খায়, তবে তা তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩২০; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১,৫৫২)

অর্থাৎ, গাছ বা ফসল রোপণ করা শুধু পার্থিব উপকারেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা সদকায়ে জারিয়া (অব্যাহত দান)-এর মর্যাদা পায়। মানুষ, পাখি বা পশু—যে-কেউ উপকৃত হলে মুসলমান এর জন্য সওয়াব অর্জন করে।

ইবাদতেও অপচয় নয়

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, একদিন নবীজি (সা.) হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। নবীজি (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এত অপচয় কেন?’ সা’দ বললেন, ‘অজুতে কি অপচয় হয়?’ নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ, এমনকি যদি তুমি প্রবাহমান নদীর থেকেও অজু করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ৭,০৬৫)

এই হাদিস শিখায়, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে সংযমী হওয়া জরুরি, এমনকি তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হলেও। যদিও অধিক পানি ব্যবহার করাকে অনেকে অপচয় বলে মনে না।

আরও পড়ুনজুরাইজ এবং তাঁর মা১১ এপ্রিল ২০২৫

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা ইমানদারের দায়িত্ব

হজরত মুআয (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সাধারণ) সতর্ক করে বলেছেন, ‘তিনটি কাজ থেকে সাবধান থেকো—যেগুলোর কারণে মানুষ অভিশপ্ত হয়: ১. এমন ছায়াযুক্ত স্থানে মলত্যাগ করা, যা মানুষ ব্যবহার করে, ২. চলাচলের পথের মধ্যে মলত্যাগ করা, ৩. পানি সংগ্রহের জায়গায় অশুচি করা।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৬)

এই হাদিস স্পষ্টভাবে পরিবেশ ও জনসাধারণের উপযোগিতার স্থানসমূহ রক্ষা করার নির্দেশনা দেয়। এ থেকে বোঝা যায়, ইসলাম শুধুই ব্যক্তি ইবাদতের শিক্ষা দেয় না, সামাজিক সচেতনতার দিকেও গুরুত্ব দেয়।

রাস্তা থেকে ক্ষতিকর বস্তু সরানো

হজরত আবু যার গিফারী (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘রাস্তা থেকে ক্ষতিকর বস্তু সরিয়ে দেওয়াও এক প্রকার সদকা।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১,০০৯)

এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর হাদিসটি আমাদের শেখায়—পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষুদ্র কাজগুলোও আল্লাহর দরবারে সদকা হিসেবে গণ্য হয়।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক কুস্তিগিরের গল্প১০ এপ্রিল ২০২৫

প্রতিবেশীর খেয়াল রাখা

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘আসল মুমিন সে নয়, যে নিজে পরিপূর্ণ খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ২০০১৭)

এই হাদিসটি আজকের ভোগবাদী সমাজে একটি অত্যন্ত মূল্যবান শিক্ষা। মুসলমানকে শুধু নিজের আরাম নয়, আশপাশের মানুষের অবস্থার প্রতিও সচেতন থাকতে হবে। একদিকে এই বার্তা খাদ্য অপচয় রোধে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যদিকে সমাজে মানবিক সহমর্মিতা গড়ে তোলে।

বস্তুর পুনর্ব্যবহার

নবীজি (সা.) ঘরে কী করতেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তাঁর প্রিয় স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.) বলেন: ‘তিনি নিজের জুতা মেরামত করতেন, কাপড় সেলাই করতেন এবং সাধারণ মানুষের মতো ঘরের যাবতীয় কাজ করতেন।’ (আল-আদবুল মুফরাদ, হাদিস: ৫৩৮)

এই হাদিস আমাদের শেখায়, কোনো বস্তু একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার শিক্ষা নবীজির (সা.) নয়। গৃহস্থালি কাজে অবহেলা করতেন না এবং ছেঁড়া কাপড় বা জুতা সেলাই করে পরতেন, ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নষ্ট করতেন না।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক ইহুদি ছেলের গল্প০৫ মার্চ ২০২৫

অন্যায়ভাবে প্রাণী হত্যা না করা

নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত কারণ ছাড়া একটি চড়ুই পাখি বা তার চেয়েও বড় কোনো প্রাণী হত্যা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জবাবদিহির জন্য ডাকবেন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, ন্যায়সংগত কারণ কী?’ তিনি বললেন, ‘যদি কেউ তা খাওয়ার উদ্দেশ্যে জবাই করে, তাহলে ঠিক আছে; কিন্তু শুধু মাথা কেটে ফেলে দিলে, তা অন্যায়।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৪,৪৪৫)

এই হাদিস পরিবেশ-সচেতনতা ও প্রাণীর অধিকারের স্পষ্ট শিক্ষা দেয়। ইসলাম জীবন ও প্রাণের প্রতি অত্যন্ত সম্মান দেখায়—এমনকি একটি ছোট পাখির জীবনকেও।

পশুপাখির সেবাও পুণ্য

হজরত আবু হুরাইরা (রা.)-র কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘এক ব্যক্তি একবার পথ চলতে গিয়ে তৃষ্ণায় কাতর হয়। সে একটি কূপ পেয়ে তাতে নেমে পানি পান করে। উঠে এসে সে দেখে, একটি কুকুর মাটি চেটে খাচ্ছে—তৃষ্ণায় কষ্ট পাচ্ছে। লোকটি ভাবল, ‘এই কুকুরটি তো আমার মতোই তৃষ্ণার্ত।’ সে আবার কূপে নেমে নিজের জুতা পানি দিয়ে ভরে মুখে করে তা তুলে এনে কুকুরকে পান করাল। আল্লাহ তার এই কাজকে পছন্দ করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, পশুপাখিকে পানি পান করানোতেও কি সওয়াব আছে?’ তিনি বললেন: ‘প্রত্যেক প্রাণীকে সেবা করায় সওয়াব আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩৬৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,২৪৪)

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর কাছ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন: ‘এক নারী জাহান্নামে প্রবেশ করেছে একটি বিড়ালের কারণে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, খাবার দেয়নি; আবার ছেড়ে দেয়নি যাতে সে মাটি থেকে পোকামাকড় খেতে পারে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৩৬৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,২৪২)

নিষ্ঠুরতা যেকোনো জীবের প্রতিই হোক না কেন, তার জন্য শাস্তি নির্ধারিত। ইসলাম শুধু উপকার নয়, অনিষ্ট থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেয়।

এই দশটি হাদিস চৌদ্দশো বছর আগের হলেও আজকের পরিবেশ সংকট ও সামাজিক বৈষম্যের যুগে আশ্চর্যরকম প্রাসঙ্গিক। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পানি অপচয় রোধ, প্রাণী সেবার গুরুত্ব ও সামাজিক সহমর্মিতা—সবকিছুতেই নবীজি (সা.) আমাদের সামনে রেখে গেছেন এক অনন্য সবুজ দর্শন। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি ইসলামের এই চেতনা অনুসরণ করলেই গড়ে উঠতে পারে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও কল্যাণময় সমাজ।

আরও পড়ুনরাগ সংবরণ করার উপায় নিয়ে মহানবী (সা.)–এর পরামর্শ২১ জানুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর ণ ত হ দ স এই হ দ স ম সলম ন ব যবহ র র জন য আম দ র বল ছ ন আল ল হ পর ব শ বলল ন করল ন করত ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 

রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।

তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”

দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”

সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ