বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকাতেই রয়েছে মেয়র গলি। সেই গলির পাশেই লাগোয়া চশমা খাল। ২০২১ সালের ৩০ জুন পানিতে টইটম্বুর এ খালে পড়ে যায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। তাতে থাকা যাত্রী খাদিজা বেগম ও চালক সুলতান ডুবে মারা যান। একই বছরের ২৫ আগস্ট একই খালে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। তাঁর লাশটি আর পাওয়া যায়নি। অথচ মুরাদপুর থেকে সেই ষোলশহরের দূরত্ব ৭০০ মিটার।

একই বছরের ৬ ডিসেম্বর আবারও চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হয় ১২ বছর বয়সী শিশু কামাল উদ্দিন। পরদিন প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালে মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে একই খালে চারজনের প্রাণ গেলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। তবে সেই চশমা খাল সুরক্ষিত হয়নি। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মেনে হয়নি নিরাপত্তা বেষ্টনীও। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এমন গাফিলতি ও অবহেলায় ১০ বছরে খাল-নালায় পড়ে চট্টগ্রামে প্রাণ গেছেন ১৪ জন। এদের মধ্যে শিশু পাঁচ, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ছাত্রীসহ নারী তিনজন ও পুরুষ পাঁচজন। 

মৃত্যুর এই মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হয় ছয় মাস বয়সী শিশু সেহেরিজ। গত শুক্রবার রাতে নগরের কাপাসগোলা এলাকায় হিজড়া খালে পড়ে নিখোঁজ হয় সে। গতকাল শনিবার নগরের আছদগঞ্জ চামড়া গুদাম এলাকার চাক্তাই খালে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে নগরীর চশমা খালে চার, নাছির খালে তিন, হিজড়া খালে দুই, মহেশ খালে দুই এবং কলাবাগিচা খালে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। আর  নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।

খাল ও নালায় পড়ে ১০ বছর ধরে একের পর এক প্রাণ গেলেও তা প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চসিক ও সিডিএ। এখন পর্যন্ত সরকারি এ দুই দপ্তর দায় স্বীকারও করেনি। উল্টো মৃত্যুর পর তারা একে অপরকে দায়ী করে একাধিকবার বাহাসে লিপ্ত হয়েছে। অথচ চসিকের আওতাধীন এলাকাতেই জলাবদ্ধতার মূল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করে জলাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছে চসিক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডও। এই তিনটি সংস্থা ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প কাজ করছে নগরজুড়ে।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী সমকালকে বলেন, খাল-নালায় পড়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে, তারা সবাই সাধারণ মানুষ। অভিজাত পরিবারের কেউ দুর্ঘটনায় পড়েনি। হয়তো এ কারণে উদাসীন দায়িত্বশীল দুই সরকারি সংস্থা। তারা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় সারছে। এসব ঘটনায় কাউকে বিচারের মুখোমুখি করানো যায়নি। এ কারণে একই ঘটনা বারবার ঘটছে।

তবে দ্বিমত পোষণ করে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরের খাল ও নালাকে সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। কয়েকটি নালার পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীও দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক, এখনও অনেক নালা ও খাল অরিক্ষত অবস্থায় আছে। এ জন্য সিডিএকেও এগিয়ে আসতে হবে। 

চশমা খালে প্রাণ গেছে চারজনের
চশমা খালে চারজন এবং নাছির খালে প্রাণ গেছে তিনজনের। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে সড়ক-খাল একাকার হয়ে যায়। ওই দিন আগ্রাবাদ বিল্লাপাড়া এলাকায় নাছির খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। এতে ব্যবসায়ী ফিরোজ জামান খান ও অটোরিকশাচালক মাহবুবুর রহমান নিহত হন। ২০২৪ সালের ৯ জুন আবিদারপাড়ে একই খালে পড়ে নিখোঁজ হয় আট বছর বয়সী শিশু সাইদুল ইসলাম। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। দুটি জায়গায় কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না।

২০২১ সালে খাল-নালায় পড়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রাণ হারান। ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২৪ সালে দু’জন, ২০১৫ সালে দু’জন ও ২০১৭ সালে একজন নিহত হন। ২০১৭ সালের ২ জুলাই নগরের এম এম আলী রোডের হিজড়া খালে পড়ে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা শীলব্রত বড়ুয়া। ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট হাটহাজারীর ইসলামিয়া হাট বাদামতল এলাকায় নালায় পড়ে নিহত হন কলেজছাত্রী নিপা পালিত। ২৭ আগস্ট নগরের আগ্রাবাদ রঙ্গিপাড়া মহেশ শাখা খালে পড়ে নিহত হয় দেড় বছর বয়সী শিশু ইয়াছিন আরাফাত। ৩ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদ বাদশা মিয়া ব্রিকফিল্ড রোড এলাকায় মহেশ শাখা খালে পড়ে নিহত হয় পাঁচ বছর বয়সী শিশু আবদুল্লাহ। গত ২৭ মে নগরের আছদগঞ্জ কলাবাগিচা খালে পড়ে নিহত হন আজিজুল হাকিম ইমন নামে এক যুবক। 

নগরজুড়ে মৃত্যুফাঁদ 
চট্টগ্রাম নগরের আসাদগঞ্জ সড়কের শুঁটকিপট্টি সেতু। এখানে চাক্তাইখালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে কলাবাগিচা খাল। শুষ্ক মৌসুমে খাল শুকিয়ে যায়। তবে রুদ্ররূপ ধারণ করে বৃষ্টির দিনে। এই খরস্রোতা খালে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কলেজছাত্র আজিজুল হাকিম ইমন। এই স্থানটি এখনও অরক্ষিত। এ খালের ওপর জরাজীর্ণ সেতুটির ফাঁক গলে যে কোনো মুহূর্তে আবার ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শুধু এই খাল নয়, নগরে এমন শত শত মৃত্যুফাঁদ রয়েছে। বৃষ্টিতে এসব ফাঁদে পড়ে আবার ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। 

২০২১ সালের ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে জলাবদ্ধতায় সড়ক-খাল একাকার হয়ে গেলে চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ খাল-নালা সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে। কিন্তু চার বছরেও এসব মৃত্যুফাঁদ সুরক্ষিত করতে পারেনি চসিক ও সিডিএ।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে খাল-নালার নিরাপত্তা বেষ্টনীর দেখা মেলেনি। নেই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও। অথচ চার বছর ধরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রতিটি সাধারণ সভার কার্যবিবরণীতে ঝুঁকিপূর্ণ খালের পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ঝুঁকিপূর্ণ নালার ওপর স্ল্যাব নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর নগরে দক্ষিণ আগ্রাবাদ বাদশা মিয়া ব্রিক ফিল্ড খালপাড় সড়কের পাশে মহেশখালে পড়ে মারা যায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু মো. আবদুল্লাহ। সেই খালপাড়েও কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখা যায়নি। 

পাশের বস্তিতে থাকত শিশু আবদুল্লাহর পরিবার। তাদেরও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী হাফিজা বেগম বলেন, ছেলে মারা যাওয়ার পর তারা এই এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
মহেশখালের পাড় ধরে হেঁটে ইসলামিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকা পর্যন্ত এক কিলোমিটারের বেশি অংশে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী চোখে পড়েনি। নগরের কমার্স কলেজের পাশে নালার ওপর নির্মিত আব্দুর রব মুন্সী লেন। সড়কটি ব্যবহার করেন এই এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু। বৃষ্টি হলে সড়কটি ডুবে যায়। এখানেও কোনো সতর্কীকরণ নোটিশের দেখা মেলেনি।

এই এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, বর্ষা এলে সড়কের ওপর থাকে হাঁটুপানি। এর পাশেই খরস্রোতা নালায় কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। যে কোনো সময় এই নালাতে পড়ে প্রাণ হারাতে পারে যে কেউ।

দুশ্চিন্তার ১১৩৭ কিলোমিটার
সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে খাল-নালা রয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে নিরাপত্তা বেষ্টনীছাড়া খালের পাড় রয়েছে প্রায় ১৯ কিলোমিটার। উন্মুক্ত নালা রয়েছে ৫ হাজার ৫২৭টি স্থানে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, তিন বছরে তারা অধিকাংশ নালায় স্ল্যাব মেরামত ও নির্মাণ এবং খালের পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েছেন।

যা বলছে চসিক ও সিডিএ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি বেশি দিন হয়নি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ নালায় স্ল্যাব ও খালে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। কিন্তু বর্ষার আগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালটি পরিষ্কার করার জন্য বেষ্টনী খুলে ফেলা হয়। বর্ষার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ সব নালায় স্ল্যাব বসানো হবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় নগরের শুধু ৩৬টি খালে কাজ করছে সিডিএ। ইতোমধ্যে ১৯টি খালে কাজ যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে আরসিসি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু খালে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া যেখানে কাজ চলছে, সেখানে কাজ শেষ হলে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে দেওয়া হবে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ২০২১ স ল বছর বয়স প রকল প দ র ঘটন ব ষ টন এল ক য় ব যবস নগর র র ওপর আগস ট র নগর

এছাড়াও পড়ুন:

নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।

তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।” 

একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?

তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলায় শুনানিতে আদালত বিব্রত
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ