আট দফা দাবিতে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধ
Published: 21st, April 2025 GMT
উচ্চশিক্ষার সুযোগসহ আট দফা দাবিতে ঢাকার খামারবাড়ির প্রধান ফটক আটকে পূর্ব ঘোষিত ‘অ্যাগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে খামারবাড়ির মূল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আবির বলেন, “দেশে সরকারি ১৮টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ২৬০টি বেসরকারি কৃষি কলেজে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী আছেন। এ শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও সুযোগ-সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন ।”
একই দাবিতে রবিবারও ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কৃষি ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা। এতে সারা দেশের কয়েক শ ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সোমবার ‘অ্যাগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং প্রতিবছর নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকসংকট দূর করতে হবে।
এছাড়া, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অধীন থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, সব কৃষি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করা, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন প্রদান, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।