৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে রিয়াদ গেল ইউএস-বাংলার প্রথম ফ্লাইট
Published: 21st, April 2025 GMT
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৪তম আন্তর্জাতিক গন্তব্য রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং রিয়াদে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। এরপর রিয়াদ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর ৪টায় অবতরণ করবে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করেছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে আসতে পারেন সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জেদ্দা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট শুরুর আগ মুহূর্তে উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রী ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সবার মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ
সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়।
ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”
সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।”
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”
তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস