সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৪তম আন্তর্জাতিক গন্তব্য রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে।

প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং রিয়াদে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। এরপর রিয়াদ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর ৪টায় অবতরণ করবে।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করেছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে আসতে পারেন সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জেদ্দা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট শুরুর আগ মুহূর্তে উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রী ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সবার মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউএস ব ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনাটি ভারতের ইতিহাসে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। নিচে ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিমান দুর্ঘটনা তুলে ধরা হলো–

নভেম্বর ১৯৯৬
১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর হরিয়ানার চরখি দাদরিতে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ আকাশপথের সংঘর্ষ ঘটে। সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৪৭ এবং কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের ইলিউশিন আইআই-৭৬ প্লেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই প্লেনে থাকা ৩৪৯ জনের সবাই নিহত হন। 

জানুয়ারি ১৯৭৮
১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি, মুম্বাই থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৮৫৫ যান্ত্রিক ত্রুটি এবং পাইলটের দিক পরিবর্তনের কারণে আরব সাগরে ডুবে যায়। বিমানে থাকা ২১৩ যাত্রীর সবাই মারা যান।

মে ২০১০
২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। ১৬৬ আরোহীর মধ্যে ১৫৮ জনই নিহত হন। 

জুন ১৯৮৫
১৯৮৫ সালের ২৩ জুন এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২ কানাডা থেকে ভারত যাওয়ার পথে আয়ারল্যান্ড উপকূলে মাঝ আকাশে বিস্ফোরণে উড়ে যায়। বিমানে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাতা বোমা ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়, যা বিশ্ব ইতিহাসে প্লেনে অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।
জুলাই ২০০০
কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লিগামী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় শহর পাটনার আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারান।

আগস্ট ২০২০
২০২০ সালের আগস্টে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে অবতরণের সময় ছিটকে গিয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত খারাপ এবং দৃষ্টিসীমাও ছিল কম। খবর রয়টার্সের।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে এবার বোমা আতঙ্ক, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ
  • মদিনায় রয়েছে বেহেশতের বাগান
  • ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা
  • বৃষ্টিতে ঝরে পড়ে আল্লাহর নিয়ামত
  • ভারতে ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা