খামারবাড়িতে শেকৃবি-কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
Published: 21st, April 2025 GMT
আট দাবিতে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ‘এগ্রি ব্লকেড’ পালন করেন কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, পূর্বঘোষিত পাঁচ দাবি বাস্তবায়নে একই স্থানে বিক্ষোভ করেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) একই স্থানে দুই দল শিক্ষার্থী মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরস্পর বিরোধী অবস্থান ও বক্তব্যের জের খামারবাড়িতে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করে। গেট বন্ধ করে বিক্ষোভের কারণে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাকিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা কোনো ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। এছাড়া তারা যে নবম ও দশম গ্রেডে তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার দাবি করছে তা একেবারেই অযৌক্তিক। তাই আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের এই দাবি বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।”
আরো পড়ুন:
ডিপ্লোমা নার্সিং কোর্সকে স্নাতকের সমমান করার দাবিতে বিক্ষোভ
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন
শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সৈকত ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমরা কোনো উসকানিতে পা দেব না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি করব। আমাদের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে বৈঠকে রয়েছে। বৈঠক থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে তা শুনে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করব।”
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আট দফা
১.
২. উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় গেজেট প্রকাশ।
৩. নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বজায় রাখা।
৪. কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে আলাদা কাঠামোয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনা।
৫. কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য পদ সংরক্ষণ।
৬. বেসরকারি খাতে নির্ধারিত পে-স্কেল নিশ্চিতকরণ।
৭. মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান।
৮. চাকরিতে প্রবেশের পর ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
ঢাকা/রায়হান/মামুন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত