‘ঘরের মাঠে তো অনেক দিন পর ৫ উইকেট পেলেন...’—কথাটা শুনে মেহেদী হাসান মিরাজ পাল্টা জানতে চাইলেন, ‘কত দিন?’

স্মৃতি হাতড়ে নিজে মনে করতে পারলেন না। সময়ের হিসাবে আড়াই বছর পর আর ম্যাচের হিসাবে ৮ ম্যাচ পর দেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে শেষবার ৫ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি।

টেস্টে অবশ্য গত বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ ফাইফার পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই স্মৃতি। রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ উইকেট নেওয়ার পর নাম তুলেছিলেন সেই স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গিয়ে বোর্ডে নিজের নামটা দেখেও এসেছেন তিনি।

সেই স্মৃতি রোমন্থন করে মিরাজ আজ বলেছেন, ‘অর্জন কিন্তু একদিনে আসে না। কষ্ট করতে হয়, তারপর অর্জনটা আসে। রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গিয়েছি, অনার্স বোর্ডে নিজের নাম দেখেছি, ভালো লেগেছে।’

বাংলাদেশেও এমন কিছু দেখতে চান তিনি, ‘বাংলাদেশে এই রীতিটা চালু করা উচিত। যাঁরা বর্তমানে আছেন (দায়িত্বে), আশা করি তাঁরা এটা নিয়ে চিন্তা করবেন।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম দিন বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অলআউট করে সেদিনই কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান করে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

সেই অবস্থা থেকে কাল পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২৫ রানে। জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে অলআউট করার পথে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।

এ অর্জনের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গা বল করা, দলকে ভালোভাবে সমর্থন দেওয়া। একই সঙ্গে ভাগ্যও সহায় হতে হবে।’

সিলেটের উইকেটে বেশ বাউন্স দেখা যাচ্ছে এবার। স্পিনাররা শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। একই অবস্থা ছিল মিরাজেরও। তবে দিনের শেষ সেশনে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা খেলার ভেতরে থাকি, অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়। কোচদের একটা বার্তা ছিল যে এই উইকেটে পেসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে পেসটা ধরে রাখা যেতে পারে। তাঁরা আমাদের খুব ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫ উইক ট ন উইক ট প

এছাড়াও পড়ুন:

জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বড় রানের নিচে চাপা পড়ার ভয়টাও নিশ্চয়ই বাড়ছিল।

তবে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বোলিংয়ে ভালোই কেটেছে তাঁদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটই তুলে নিয়ে অলআউট করেছে ৩০৭ রানে। তবে জিম্বাবুয়ে এরপরও স্বস্তিতে নেই। ১৫৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ১২৭ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।

আরও পড়ুনআধা ঘণ্টার মধ্যেই গিলের দুই রেকর্ড ৫ ঘণ্টা আগে

দিনের প্রথম বলেই ৭০ বলে ৪১ রান করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর ৬৬ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও ডেভন কনওয়ে। এবারও জিম্বাবুয়ের ত্রাতা হন মুজারাবানি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করা হেনরি নিকোলসকে ফেরান ব্রায়ান বেটের ক্যাচ বানিয়ে।

এরপর কনওয়ে ১৭০ বলে ৮৮ রান করে তানাকা চিবাঙ্গার বলে ফিরে গেলে আরও চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টাটা করতে পেরেছেন শুধু ড্যারিল মিচেল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ১১৯ বলে ৮০ রান করে নিউম্যান নিমহারির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের মাত্র দুজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার