৩৬ বছর পরিচ্ছন্নের কাজ করে অবসরে যাওয়া ডলির হাতে উঠল ফুলের তোড়া
Published: 22nd, April 2025 GMT
ডলি জমাদারের পৈতৃক বাড়ি মাগুরায়। বিয়ের পর চলে আসেন ফরিদপুরে। স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ‘বান্ধবপল্লি’ নামে পরিচিত হরিজনপল্লিতে।
ডলির ডান হাতের কবজির ওপরের দিকে ট্যাটু করে লেখা ‘গণেশ’। এটা তাঁর স্বামীর নাম। ৪৫ বছর আগে বিয়ের পরপর স্বামীর সঙ্গে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ডলি। তখন ডলি ছিলেন ছিপছিপে এক তরুণী। সে সময় তিনি শখ করে ট্যাটুটি করিয়েছিলেন।
গণেশ ও ডলির সেই বয়সকালের একটা বাঁধানো ছবি রাখা আছে বান্ধবপল্লির বাড়ির বসার ঘরে। যদিও এই ছবির একজন এখন কেবলই স্মৃতি, তিনি গণেশ।
গণেশ জমাদার ছিলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। চাকরি করতেন ফরিদপুর সদর হাসপাতালে। চাকরিতে থাকা অবস্থায় গণেশ অন্ধ হয়ে যান। তখন স্বামীর চাকরিটি পান ডলি। সেটা গত শতকের আশির দশকের শেষের দিকের কথা।
এরপর অন্ধ স্বামী আর এক ছেলে ও দুই মেয়ের ভরণপোষণ ছাড়াও আত্মীয়স্বজনদের নানা অভাব-অভিযোগ মেটানোর দায়িত্ব এসে পড়ে ডলির কাঁধে। তাঁদের দুই কামড়ার ঘরে ঠাঁই পেয়েছেন বিপদগ্রস্ত অনেক মানুষ।
২ এপ্রিল দুপুরে ফরিদপুরের বান্ধবপল্লিতে গিয়ে দেখা হয় ডলির সঙ্গে। তাঁর এক আত্মীয়ের মেয়ে ১১ দিন আগে সন্তান প্রসব করেছেন। সেই নবজাতককে নিজের নাতির মতো করে যত্ন করছিলেন ডলি।
স্বজনের শিশুসন্তান কোলে বান্ধবপল্লির বাড়িতে ডলি জমাদার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে