গাজীপুরে হত্যা মামলায় দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন আদালতে, ডিম নিক্ষেপ
Published: 22nd, April 2025 GMT
গাজীপুরে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যার অভিযোগে মহানগরের গাছা থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় সাবেক ৩ জন মন্ত্রী, ২ জন প্রতিমন্ত্রী, একজন সেনা ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মঙ্গলবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এ তাদেরকে হাজির করা হলে, বিচারক ওমর হায়দার এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দু’টি প্রিজনভ্যানে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ডা.
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, তিনটি মামলার শুনানির দিন মঙ্গলবার ধার্য ছিল। সকালে ছয়জনকে কারাগার থেকে গাজীপুর আনা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এ শুনানি শেষে আবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আদালত পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় আসামিদের গাজীপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করা হয়। পরে হাজির করা আসামিদের তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলে বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক ওমর হায়দার গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত হ জ র কর মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।