কাতারে বাংলাদেশি মহিলা খেলোয়াড়রা ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন
Published: 23rd, April 2025 GMT
কাতারের দোহায় আর্থনা সামিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে থাকা চার বাংলাদেশি মহিলা ক্রীড়াবিদ আজ ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন।
চার খেলোয়াড়- ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে চার খেলোয়াড়ের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের অর্জন ও বাংলাদেশে মহিলা ক্রীড়ার পটভূমি তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা চারজন খেলোয়াড়কে স্বাগত জানান। কাতার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের সময় চারজন খেলোয়াড়ের সাক্ষাৎকার নেন।
খেলোয়াড়রা পরে কাতার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আর্থনা সামিটের আয়োজক শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানির সঙ্গে দেখা করেন, যেখানে তাদের পাশে প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি, যিনি নিজে একজন শীর্ষস্থানীয় প্রাক্তন কাতারি ক্রীড়াবিদ এবং কাতারের আমিরের বোন, বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের কথা শোনেন ও মহিলা ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ডরমিটরি, জিমনেসিয়াম এবং অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ফুটবলার আফিদা খন্দকার বলেন, আমরা আজ কাতারি রাজকুমারীর সঙ্গে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলাম। এটি আমাদের জন্য একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। এখানে নিয়ে আসার জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা খেলোয়াড়দের ব্রিটিশ অভিনেতা ইদ্রিস এলবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কারণ ব্রিটিশ অভিনেতা ইদ্রিস এলবা বিশেষ অংশগ্রহণকারী হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে রয়েছেন চার জাতীয় মহিলা ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
কাতার ফাউন্ডেশন এই মহিলা খেলোয়াড়দের কাতারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য অধ্যাপক ইউনূস এখন চার দিনের সফরে কাতার সফরে রয়েছেন। সূত্র-বাসস
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।