Risingbd:
2025-09-18@01:12:14 GMT

ভয়হীন কুয়েট চায় ছাত্রদল

Published: 23rd, April 2025 GMT

ভয়হীন কুয়েট চায় ছাত্রদল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভয়হীন ক্যাম্পাস, নিরাপদ ও স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রদল।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতির পদমর্যাদায়) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতি বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রথমেই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা চাই, কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভয়হীন ক্যাম্পাস, নিরাপদ, সুষ্ঠু ও সেশনজটমুক্ত স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌর্হাদ্যর্পূণ পরিবেশ বিরাজ করুক।

আরো পড়ুন:

‘কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে’

ঢাবিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ‘টিকা’

অতি সম্প্রতি কুয়েটে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে ছাত্রদলের ফরম সংগ্রহ করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মারধর করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় এর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। 

মবের সঙ্গে জড়িত কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ ঘটনাটি ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় মব সৃষ্টিকারীদের হাতে কুয়েটের শিক্ষকরাও লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং শিষ্ঠাচার বহির্ভূত।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ছাত্রদল ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ছাত্রদল প্রত্যাশা করে, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে যে ভয়ের সংস্কৃতি বিরাজ করছিল, মব কালচারের মাধ্যমে যেন সেটির পুনরুত্থান না ঘটে।

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলকে জড়ানো বা ছাত্রদলের ওপর যেকোনোভাবে দায় চাপানোর একটি অসৎ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা তাদের এই হীন অপচেষ্টার নিন্দা জানাই।

ছাত্রদল বলছে, এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষা, সম্মান ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাহসী অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান গুটিকয়েক ব্যক্তির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়; বরং গোটা শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষার স্বার্থেই পরিচালিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় ছাত্রদল ক্যাম্পাসে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।

আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি, ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল কুয়েটের পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনে যাবেন। ছাত্রদল প্রত্যাশা করে, প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কুয়েটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সম্মান, স্নেহের সম্পর্ক ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে আন্তরিক থাকবেন। একইসঙ্গে যেসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটিকে পুনর্বিবেচনা করবেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ক পর ব শ ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে।

এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ৫২৮টি ও হল সংসদে ৬৩৪টিসহ মোট ১১৬২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন নিয়ে ৭ দাবি ছাত্রশিবিরের

সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলনের

একইসঙ্গে বুধবার চাকসুতে ১২৫টি ও হল সংসদে ২৪৬টিসহ মোট ৩৭১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শেষদিনের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছে চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণের সর্বশেষ দিন থাকলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে আজ ফরম জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় থাকলেও আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে মোট ১১৬২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা খুব সহনশীল পরিবেশ বজায় রেখেছে। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হয় মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। চারদিনে ২৬ পদের বিপরীতে চাকসুতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র নেন প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র গ্রহণের শেষদিন ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১২টায় মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদানের সময়সীমা বৃদ্ধি করে নির্বাচন কমিশন।

বৃদ্ধি করা সময় অনুযায়ী, বুধবার শেষদিনের মতো মনোনয়নপত্র নেন প্রার্থীরা। আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। সে হিসেবে বুধবার শেষদিনে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৯ জন ও হল সংসদে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নেন।

এবারের হল সংসদ নির্বাচনে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেল সংসদে ২০৬টি পদের বিপরীতে শেষদিন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৬৩৪টি ফরম। 

আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের বিষয়ে আপত্তি ও নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ
  • ১৬ দিন ধরে অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ বাকৃবি ছাত্রশিবিরের