পৃথিবীখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরে সফল হতে পেরেছেন। তিনি সফল হওয়ার জন্য সফলতার প্রতিটি শুরুতে গোপন রাখা উচিত বলে মনে করেন। ‘ফ্যাকচুয়াল ফ্যাক্টস বাই জ্যাক মা’— জ্যাক মা এর একটি ভিডিও বক্তব্য শেয়ার করেছে। ওই ভিডিওতে জ্যাক মা জানিয়েছেন তার সফল হওয়ার মন্ত্র। জ্যাক মা- এর বক্তব্যের সংক্ষেপিত অনুবাদ রাইজিংবিডির পাঠকদের জানিয়ে দিচ্ছি।

আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকেন আশা করছি ভালো আছেন। আজকের এই দিনে আপনাকে একটি গোপন বিষয়ে বলবো। এই ‘সিক্রেট’ আপনি গুগলে পাবেন না, ‘টেড টকে’ পাবেন না কিংবা ব্যবসা সংক্রান্ত বইয়ে পাবেন না। এই সিক্রেট আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার জীবনের শুরু দিকেই, যখন আমি বোকা ছিলাম। আপনারা কি সেই ‘সিক্রেট’ সম্পর্কে জানতে চান?

আপনি নিরবে জিতে যাবেন। হ্যাঁ, নিরবেই জিতে যাবেন। শব্দ করে নয়, পটকা ফুটিয়ে নয়, প্যারেড করে নয়। কাউকে ডেকে ডেকে এই বলে নয় যে, ‘এই আমাকে দেখো আমি এটা অর্জন করেছি’। আজকের বিশ্বের দিকে তাকান, প্রত্যেকে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রত্যেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা তাদের জুতা, গাড়ি এমনকি ফেইক রোলেক্স দেখাচ্ছেন। তারা তাদের অ্যাপার্টমেন্টকে প্যালেসের মতো করে দেখাচ্ছেন। শুধু এটা বলার জন্য যে, ‘আমি জিতে গিয়েছি’। কিন্তু প্রকৃত জয়ী, চ্যাম্পিয়ন কখনও কথা বলেন না। 

আরো পড়ুন:

বয়স ৩০ হলে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পারেন

স্বপ্নপূরণে যে পরামর্শ দিলেন শাহরুখ খান

সফলতা হলো পারফিউমের মতো। যার সুঘ্রাণ মানুষ পেয়ে যায়। এটি মানুষকে আলাদা করে দেখানোর বা বলার কিছু নেই। সুতরাং আপনি আপনার জিতে যাওযার গল্পটি বলা বন্ধ করুন। এটি অনুভব করুন। আমি যখন আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করি, তখন মানুষ আমাকে বিশ্বাস করতে পারেননি। এমনকি আমার পরিবারও না। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল, আমি কাজ করবো, ব্যর্থ হবো, কাজ করবো, আবার ব্যর্থ হবো—এবং আমি শেষ পর্যন্ত আলিবাবা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। কিন্তু আমি বলিনি যে, দেখো আমি এখন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের একজন। আমি বলেছি, এখন একটু ঘুমাতে চাই কারণ আমি ক্লান্ত।

এটি খুবই ছোট প্রশ্ন কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি যখন জিতে যাবেন, তখন কি করবেন? অনেকেই বলবেন, ফেসবুকে, ইন্সটাগ্রামে সবাইকে জানাবো। কিন্তু একটি শিয়ালের সামনে এক টুকরো চিকেন থাকলে সে ভাবে এটা দিয়ে কীভাবে ডিনার করবে। অনেকেই একটি বিজনেস শুরু করেন, প্রথম বিক্রি হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেন। অনেকে একটি সম্পর্ক শুরু করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেন। তারপর সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে ওই পোস্ট সরিয়ে ফেলেন।

আমি বলবো আপনার সফলতার গল্প অবশ্যই আপনি গোপন করুন, প্রোটেক্ট করুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত গোপন রাখুন। এরপর আপনি পরিপূর্ণ সফলতা ও নতুন শক্তি খুঁজে পাবেন। নিজেকে প্রস্তুত ও নির্মাণ করতে পারবেন। এটাই নিরবতার শক্তি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য