Samakal:
2025-11-03@08:06:38 GMT

বালু লুটপাটে ঝুঁকিতে সেতু

Published: 24th, April 2025 GMT

বালু লুটপাটে ঝুঁকিতে সেতু

বহু দেনদরবার, আন্দোলন, মানববন্ধন করতে হয়েছিল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাঙ্গালী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য। সেই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে খুলে দেওয়া হয় আড়িয়াঘাট ও মধুপুরের মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি। এতে যোগাযোগ হয় সহজ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন আশপাশের ৩৫ গ্রামের মানুষ। তাদের সেই স্বস্তি হাওয়া হয়ে গেছে স্থানীয় একটি বালুদস্যু চক্রের কারণে। প্রভাবশালী এ চক্রটি সেতুর কাছ থেকে লুটে নিচ্ছে বালু। ভয়ে প্রতিবাদেরও সাহস পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন। 
এলাকাবাসী জানায়, বছরের পর বছর আশপাশের ৩৫ গ্রামের মানুষকে বাঙ্গালী নদী পারাপার করতে নৌকা ব্যবহার করতে হতো। তাদের নানা আন্দোলনের পর ২০২০ সালে আড়িয়াঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় ৩৬ মিটার চওড়া ও ২৯৮ দশমিক ৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঈন লিমিটেড অ্যান্ড ডন এন্টারপ্রাইজ ২০২৩ সালের আগস্টে কাজ শেষ করে। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সেতুটি। 
সেতু উদ্বোধনের বছরখানেক পরই বাঙ্গালী নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তোলা শুরু করে একটি চক্র। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনের অনুসারী। ওই ব্যক্তিরা বালুর পাশাপাশি মাটিও কেটে নিয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে গেলে ওই ব্যবসা দখলে নেন বিএনপি সমর্থক কিছু লোক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন আগেও নীরব ছিল, এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছে।

সূত্র জানায়, সেতুটির পূর্ব পাশে মধুপুর, পশ্চিম পাশে আড়িয়াঘাট। দিনে অন্তত ৫০টি ট্রাক-ট্রলিতে করে বালু নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি আরও অন্তত ৩০০ যানবাহনও এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, বাঙ্গালী নদীটি শুকনো মৌসুমে নিরীহ মনে হলেও বর্ষা মৌসুমে খরস্রোতা হয়ে ওঠে। এভাবে মাটি-বালু লুটের কারণে আসন্ন বর্ষায় তীরের ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে। 
মধুপুরের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর ভাষ্য, ওই সেতু নির্মাণের জন্য আশপাশের এলাকার মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কত দলের নেতার কাছে ধর্না দিয়েছেন। অবশেষে সেতুটি নির্মিত হলেও বালু দস্যুদের কারণে এটি রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে বালু তুলেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা, এখন তুলছে বিএনপির লোকেরা। তাদের বিষয়ে প্রশাসন নিশ্চুপ।
বালু-মাটি লুটের বিষয়ে কথা হয় আড়িয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও চকনন্দন এলাকার শাহীন আলমের সঙ্গে। এই দুই বিএনপি কর্মীরই মাটি-বালুর ব্যবসা। তারা বাঙ্গালী নদী থেকে বালু-মাটি তোলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমরা নই, বালু তোলায় আরও কয়েকজন জড়িত আছে।’
মধুপুর এলাকার বালু ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। তিনিও বিএনপি সমর্থক। আব্দুল মোমিনের দাবি, ‘ব্রিজের নিচ থেকে বালু তোলায় প্রায় ২১ জন ব্যক্তি জড়িত।’ তারা প্রতি ট্রলি বালু দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকায়, প্রতি ট্রাক বালু চার হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। 

ঝুঁকিতে তীর সংরক্ষণ বাঁধ
বাঙ্গালী নদীর ভাঙন থেকে তীর রক্ষায় ২০২০ সালে ডান তীরে (আড়িয়াঘাটের পাশে) পাঁচ দশমিক ২২ কিলোমিটার সংরক্ষণ কাজ করা হয়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খরচ হয় ১৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এতে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায় উপজেলার নামাজখালী, রানীরপাড়া, রংরারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, হলিদাবগা, পোড়াপাইকর এলাকা।  সাম্প্রতিক সময়ে বালু উত্তোলনের কারণে এসব এলাকার বাড়িঘর, আবাদি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। 
বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা হয় সোনাতলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক লিপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিএনপির কারা বালু তুলছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তথ্য সংগ্রহের পর দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানাবেন। 
সোনাতলার ইউএনও স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, আড়িয়াঘাট এলাকায় সেতুর নিচ থেকে বালু তোলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। শিগগির সেখানে অভিযান চালাবেন। 
এই সেতুর নিচ থেকে বালু-মাটি তোলা হলে তা ধসে পড়তে পারে বলে জানান বগুড়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহম্মেদ। তিনি বলেন, সেতুটি রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বালু তোলা ও মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তালিকায় থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত এবং একই অভিযোগে ৩৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার বা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় থাকা ইবির ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ‘শাস্তি নির্ধারণ কমিটি’ করবেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এদিকে একই অপরাধে জড়িত থাকায় ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। যাদের পড়াশোনা শেষ হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করা হবে। আর যারা অধ্যয়নরত, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় অবতীর্ণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিতকরণে গত ১৫ মার্চ আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। 

এই কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, বিভিন্ন তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে তালিকায় থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নিবর্তনমূলক কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পায়।

কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা হলেন: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিয়া রাশিদুজ্জামান।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহ আরো রয়েছেন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন।

সাসপেন্ড হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকায় রয়েছেন প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন খান ও আব্দুল হান্নান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, একই দফতরের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. ইব্রাহীম হোসেন সোনা। 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শাখা কর্মকর্তা উকীল উদ্দিনসহ তালিকায় নাম রয়েছে ফার্মেসি বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম (শিমুল), আইসিটি সেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জে এম ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার (ফটোগ্রাফি) শেখ আবু সিদ্দিক রোকন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদুর রহমানের।

বহিষ্কার ও সদন বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের বিপুল খান, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের মেহেদী হাসান হাফিজ ও শাহীন আলম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের রতন রায়। 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের মুন্সি কামরুল হাসান অনিকসহ তালিকায় রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের হুসাইন মজুমদার, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের তরিকুল ইসলাম।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মৃদুল রাব্বী, ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ফজলে রাব্বী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শাকিল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিমুল খান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের কামাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মাসুদ রানা, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মেজবাহুল ইসলাম বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। 

সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের অনিক কুমার, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আব্দুল আলিম, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিজন রায়, শেখ সোহাগ ও শাওনও এই শাস্তি পেয়েছেন। 

জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করায় শাস্তি পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের তানভীর ও শেখ সাদি, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মাজহারুল ইসলাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মনিরুল ইসলাম আসিফ, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মারুফ ইসলাম, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের পিয়াস, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ফারহান লাবিব ধ্রুব, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের প্রাঞ্জল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের নাবিল আহমেদ ইমন।

ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের রাফিদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আদনান আলি পাটোয়ারি, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের লিয়াফত ইসলাম রাকিব এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ইমামুল মুক্তাকী শিমুলও শাস্তির তালিকায় রয়েছেন। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে প্রকাশ্যে বিরোধিতাকারী হিসেবে এই ৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তাদের উস্কানিদাতা এবং পেছন থেকে আন্দোলন দমনকারী অনেকেই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই অভিযোগ অভিযুক্তদেরও। তবে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/তানিম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’