‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইনে’ জনতার ঢল, বিশ্বমুসলিম ঐক্যের আ
Published: 26th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিন মুসলিম গণহত্যা ও ভারতে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন বন্ধে বিশ্বমুসলিম ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন সুন্নি সমর্থিত শীর্ষ আলেমরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচিতে তারা এ আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, গণহত্যায় জড়িত ইসরায়েলীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার, ভারতের মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশে ইজরায়েলী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধের দাবিতে এই মহাসমাবেশ আয়োজন করে।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মজলুম ফিলিস্তিনবাসী ও ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফি, মহাসচিব পীরে ত্বরিকত আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দোলাহ, মুফতি অছিয়র রহমান, পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, পীর ড.
মহাসমাবেশে লাখো সুন্নি জনতার ঢল নামে। সকাল ৯টায় মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৭টা থেকে প্রেসক্লাবের আশে-পাশ ছাড়িয়ে দৈনিক বাংলার মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট, নাইটিঙ্গেল, ঢাবি বক চত্বর, মৎস ভবন, রমনা সোহরাওয়ার্দী গেইট পর্যন্ত লাখো সুন্নি জনতায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
সমাবেশে সবার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়, ফ্রি ফ্রি প্যালাস্টাইন ও নারায়ে রিসালতের স্লোগান। পরে ঘোষণা পত্র পাঠ, মিলাদ কিয়াম ও বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের কল্যাণে বিশেষ দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে শান্তিপুর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ