১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ জানাল মন্ত্রণালয়
Published: 27th, April 2025 GMT
খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্যুতির কারণ জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রাণালয়।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) গ্রিড নেটওয়ার্কে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এদিন বিকেল ৫টায় মোট জেনারেশন ছিল ১৪৫২০ মেগাওয়াট এবং সিস্টেম ফ্রিকুয়েন্সি ছিল ৫০.
আরো পড়ুন:
খুলনা অঞ্চলে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি
লোডশেডিং হবে শহরেও, সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা চলছে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
তবে, ২৩০ কেভি ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-ঝিনাইদহ লিঙ্কটি চালু থাকায় ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি লেভেলে সংযুক্ত ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মাগুড়া, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রগুলো চালু ছিল। এই ২৩০ কেভি লিঙ্ক ব্যবহার করে পাওয়ার গ্রিডের এনএলডিসি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় দক্ষতার সঙ্গে যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া উপকেন্দ্রগুলো চালু করা হয়। ফলে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
অন্যদিকে, ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনের সংঘটিত ফল্টে ১৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা), ১৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল, ৩০৭ মেগাওয়াট বরিশাল ইলেকট্রিক, ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল, ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা নতুন বিদ্যুৎ ও ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্লক-২ ট্রিপ করে প্রায় ২২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। বিকেল ৬টা ১৯ মিনিটে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট-১ এবং বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে সার্কিট-২ চালু করা হলে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ-আমতলী লিঙ্কটি সচল হয়।
এ অবস্থায় সিনক্রোনাইজিং বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ফলে সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে ১৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা) বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটে ইউনিট-২ সিনক্রোনাইজ করা হয় এবং ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওই অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রও গ্রিড নেটওয়ার্কে সিনক্রোনাইজ করা হলে রাত ৯টায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়।
প্রাথমিকভাবে ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি আমিনবাজার এবং ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র থেকে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনের প্রটেকটিভ রিলের ফল্ট রেকর্ডসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত তথ্য প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, আমিনবাজার উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে এবং গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সার্কিট-১ এর ব্লু-ফেজ এবং সার্কিট-২ এর রেড-ফেজ এর মাঝে ট্র্যানজিয়েন্ট শর্ট-সার্কিট সংঘটিত হওয়ার কারণে সার্কিট দুটির উভয় প্রান্ত থেকে সিস্টেম প্রোটেকশনের জন্য ব্যবহৃত প্রটেকটিভ রিলের স্বয়ংক্রিয় অপারেশনে তদসংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ট্রিপ করে যায়।
উপরোক্ত তথ্যের বিস্তারিত কারিগরি যৌক্তিকতা অনুসন্ধান করতে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং পাওয়ার গ্রিড থেকে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বর্ণিত ট্রিপিং এর বিস্তারিত কারণসহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানা যাবে, বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ন দ র পর স থ ত ৪০০ ক ভ মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন
পটুয়াখালীর ধানখালীতে সদ্য চালু হওয়া পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান ও ডেপুটি ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।
আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ একর এরিয়ার স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টিম, নৌ-বাহিনীর একটি টিম ও সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় রাত এগারোটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) ও তদন্ত কমিটির সদস্য শওকত ওসমান বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের পরই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।”
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল প্লান্টের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন ঘটেনি। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মূল্যবান কোন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিত্যক্ত বেশ কিছু স্ক্র্যাপসহ লোহা-লক্কর পুড়ে গেছে।
ঢাকা/ইমরান/টিপু