আইন উপদেষ্টার বাসভবনে ড্রোন, যা জানা গেল
Published: 27th, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদীয়বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের রাজধানীর রমনার বাসভবনে শনিবার একটি ড্রোন পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ড্রোনটি উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অধীনে পরিচালিত সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কর্মকর্তারা।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আইন উপদেষ্টার বাসভবনের মূল ভবনের পশ্চিম দিকে ১৫০ গজ সামনে ঘাসের ওপর একটি ড্রোন বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
প্রথমে বাগানের মালী সালমা হক বাগান ঝাড়ু দেওয়ার সময় ড্রোনটি দেখতে পান। তিনি আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি জানান।
মহানগরীর সাইবার সন্ত্রাস এবং সাইবার-অপরাধ দমনে টহল, প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং তদন্তে নিয়োজিত সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে এসে পড়ে থাকা ড্রোনটি দেখতে পায়।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ড্রোনটি চীনে তৈরি। তবে কোনো ধরনের হামলা করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়নি।
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাহজাহান হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে ড্রোনটি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও তদন্তের জন্য নিয়ে আসি। তদন্ত করে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাতে ক্ষতিকারক কোনো কিছু আমরা পাইনি।”
পুলিশের এই তদন্ত বিভাগ ড্রোনটির বিষয়ে জানায়, ড্রোনটির ওজন ২৪৯ গ্রাম। এতে ফুটেজ সংগ্রহ করার মতো কোনো মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়নি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ড্রোনের ব্যাটারি খোলা ছিল।
বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ড্রোনটি আইন উপদেষ্টার বাসভবনের এলাকার মধ্যে এসে পড়ে।
ডিসি শাহজাহান হোসেন বলেন, “ড্রোনে কোনো ধরনের মেমোরি বা ক্ষতিকারক কোনো ডিভাইস পাওয়া যায়নি। আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কোনো ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে ড্রোনটি ব্যবহার করা হয়নি। ড্রোনটি চায়নার তৈরি।”
“তবে কারা এখানে ড্রোনটি অবতরণ করিয়েছে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি,” যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন উপদ ষ ট র ব র ব সভবন ড র নট তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা ঠিক করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগামে হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে- সে সব সিদ্ধান্তও স্বাধীনভাবেই নেবে এই তিন বাহিনী।
যেমনভাবে মনে হবে, সেরকমভাবেই অভিযান চালানোর জন্য তাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বাহিনীর ওপরই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠীর সামনেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, কীভাবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং কখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।
বৈঠক চলে মোট ৯০ মিনিট। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহেই পাকিস্তানকে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সুর ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠেও।
সেই আবহেই ভারতে একের পর এক জরুরি বৈঠক চলছে। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠক হয়।
এর ঠিক এক সপ্তাহ আগের মঙ্গলবারেই জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন।
পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই কূটনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।
বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি। নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক পদক্ষেপ। জঙ্গি-নিধন অভিযানও চালাচ্ছে ভারত। পেহেলগামে হামলায় যে জঙ্গিরা জড়িত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তাদেরকে এখনও ধরা না গেলেও সন্ত্রাসবাদী নিধন অভিযান চলছে। খুঁজে-খুঁজে বের করা হচ্ছে জঙ্গিদের। খবর এনডিটিভি