অস্বাভাবিক বাড়ছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার দর, তদন্তের নির্দেশ
Published: 28th, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম ১৬ দিনে বেড়েছে ১ হাজার ২৪৬ টাকা বা ৯৩ শতাংশ। এ কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়া ও লেনদেনের মধ্যে কোনো কারসাজি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। এছাড়া, কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে যাতে সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর), কমপ্লায়েন্স অফিসার অথবা সিইওকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিএসইকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ অস্বাভাবিক দাম বাড়া ও শেয়ারের লেনদেনের বিষয়ে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেডের কাছে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ২৫ এপ্রিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই চিঠির জবাবে জানায়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে।
ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম ছিল ১ হাজার ৩৩৭.
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির শেয়ারমূল্য ও লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য এবং অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে, যা সন্দেহজনক। ওই প্রেক্ষাপটে নির্দেশ দেওয়া হলো যে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ১১ এবং দ্বিতীয় তফসিলের আচরণবিধি বিধি ৬ ও ৮ অনুসারে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন সম্পাদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর) বা কমপ্লায়েন্স অফিসার বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) অবহিত করতে বলা হলো। সেই সঙ্গে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার লেনদেন বিষয়ে তদন্ত করে এই চিঠির তারিখ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানিতে রাষ্ট্রের মালিকানা ৫১ শতাংশ।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল নদ ন র ব এসইস
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা