Samakal:
2025-08-01@08:55:47 GMT

এবার নিশোর সঙ্গী নাবিলা

Published: 30th, April 2025 GMT

এবার নিশোর সঙ্গী নাবিলা

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে আফরান নিশো অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘দাগি’। দ্বিতীয় এ সিনেমাতেও দারুণ প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। হাউজফুল গেছে শো, সিনেমায় ছিল দর্শকের উপচে পড়া  ভিড়। দেশ মাতিয়ে সিনেমাটি বিদেশেও মুক্তি পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশেও দর্শক টানছে সিনেমাটি। ঈদের ছবির রেশ থাকতেই এলো আফরান নিশোর নতুন কাজের খবর। এবার প্রেক্ষাগৃহে নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সিরিজ। নাম ‘আকা’। পরিচালনা করবেন ভিকি জাহেদ। এ ‘আকা’তে নিশোর নায়িকা হয়ে পর্দায় ফিরছেন ‘তুফান’খ্যাত মাসুমা রহমান নাবিলা। ইতোমধ্যে শুটিংও করে ফেলেছেন তিনি। এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের সূত্রে। 

নিশো-ভিকির জুটি এর আগে ‘পুনর্জন্ম’ নাটক নির্মাণ করে সাড়া ফেলেছেন। নতুন এ সিরিজের গল্প একই প্যাটার্নের। তবে এখনই এ সিরিজ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কিছু লোকেশনে বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়েছে সিরিজটির। সূত্র বলছে, সিরিজটির নাম পরিবর্তন হতে পারে। আপাতত প্রাথমিকভাবে এর নাম রাখা হয়েছে ‘আকা’। ‘আজাদ’ও হতে পারে।  এর আগে জানা গিয়েছিল সিরিজটিতে নিশোর বিপরীতে থাকবেন তানজিম সায়রা তটিনী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তটিনী নেই এতে। সেখানে নাবিলাকে দেখতে পাবেন দর্শক। 

সবশেষ নাবিলাকে পর্দায় দেখা গেছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমায়। এরপর তাঁকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি। অবশেষে নিশোর নায়িকা হয়ে ফিরছেন তিনি। 

অন্যদিকে সিরিজটি দিয়ে দীর্ঘদিন পর ওটিটিতে ফিরছেন নিশো। নিজের প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময় ‘সাড়ে ষোলো’ শিরোনামে হইচইয়ে একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পায়। সিরিজটি সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হলে আর নতুন কোনো সিরিজে দেখা মেলেনি এ তারকাকে। 

তাঁকে নতুনভাবে দেখা যাবে ভারতীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এতে কল গার্ল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে মডেল ও অভিনেত্রী সেমন্তী সৌমিকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স র জট

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ