ইউটিউব শর্টসে চালু হচ্ছে নতুন ৫ সুবিধা
Published: 2nd, May 2025 GMT
আকারে ছোট ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। আর তাই আকারে ছোট ভিডিও সহজে তৈরির পাশাপাশি আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল করে তুলতে শর্টসে একাধিক নতুন সুবিধা চালু করছে ইউটিউব। গুগল ডিপমাইন্ডের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে নির্মাতারা দ্রুত আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউটিউব শর্টসে নতুন যেসব সুবিধা চালু হচ্ছে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
অ্যাপভিত্তিক উন্নত ভিডিও সম্পাদনাশর্টসের অ্যাপভিত্তিক ভিডিও সম্পাদনা সুবিধা আরও উন্নত করছে ইউটিউব। এর ফলে নির্মাতারা সহজেই ভিডিও ক্লিপের দৈর্ঘ্য কমানো-বাড়ানো, পছন্দমতো গান ও বার্তা যুক্ত করার পাশাপাশি ক্লিপের বিন্যাস পরিবর্তন বা নির্দিষ্ট ক্লিপ বাদ দিতে পারবেন।
ভিডিওর সঙ্গে গানের মিলভিডিওতে বিভিন্ন গান যুক্ত করেন অনেকেই। নতুন সুবিধা চালু হলে ভিডিও ক্লিপগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে গানের সুর ও বিটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এর ফলে আলাদাভাবে ভিডিও ও গানের সুর মেলানোর প্রয়োজন হবে না।
ছবি দিয়ে শর্টস টেমপ্লেট তৈরিছবি দিয়ে শর্টস টেমপ্লেট তৈরির সুবিধা পাওয়া যাবে ইউটিউবে। এর ফলে ভিডিও নির্মাতারা সহজেই নিজেদের ফোনের গ্যালারিতে থাকা ছবির মাধ্যমে শর্টস টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, চাইলে শর্টস টেমপ্লেটে বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টও যুক্ত করতে পারবেন তারা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্টিকারনতুন এ সুবিধা চালু হলে টেক্সট প্রম্পট দিয়ে সহজেই এআইনির্ভর স্টিকার তৈরি করে ভিডিওতে যুক্ত করা যাবে। এর ফলে নিজেদের তৈরি ভিডিওকে সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় করতে পারবেন নির্মাতারা।
জেনারেটিভ এআই টুলব্রেইনস্টর্মিং বাডি নামের নতুন জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করা যাবে ইউটিউবে। টুলটি কাজে লাগিয়ে নির্মাতারা ভিডিও তৈরির নতুন ধারণা, উপযুক্ত শিরোনাম ও আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করতে পারবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই বাতিলের চক্রান্ত কেন
যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই কেন বাতিল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন পেশার ২২ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, নৃবিজ্ঞানী নাসরিন সিরাজ, সাংবাদিক সাদিয়া গুলরুখ, মানবাধিকার আইনজীবী তাবাস্সুম মেহেনাজ ও ইশরাত জাহান, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী লায়েকা বশীর, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন সংগঠক সুলতানা বেগম, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না, থিয়েটারকর্মী নাজিফা তাসনিম খানম তিশাসহ অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশায় থাকা ২২ নারী।
বিবৃতিতে এই নারীরা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীবান্ধব প্রস্তাব পেশ করবে, সেটিই প্রত্যাশা এবং সেটিই উচিত। একটি কমিশনের সব প্রস্তাব সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, কেবল নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয় এলেই একদল যেন দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
বিবৃতিতে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, ‘নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে কি তাদের খুব অসুবিধা হবে? তারা কি এই সমাজের বাইরে? যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে তারা পুরো কমিশন বাতিল করতে চায়। এই হীন চক্রান্ত কেন?’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, নারীকে হেয়প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নারীর প্রতি তারা যে আজন্ম ঘৃণা, হিংস্রতা ও নিপীড়নের মনোভাব লালন করে; সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বক্তব্যে নারীদের নোংরাভাবে উপস্থাপন করে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত চিন্তা, চেতনা ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাও প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, নারীর প্রতি এই অসম্মান নিয়েই এরা রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্নও দেখে। দেশের ৫১ শতাংশ নারীকে বাদ দিয়ে অথবা পদদলিত করে সরকার গঠনের দিবাস্বপ্ন কতটা অমূলক, সেটি বোঝার বোধবুদ্ধি পর্যন্ত তারা হারিয়েছে।
আরও পড়ুননারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের দাবি১ ঘণ্টা আগেচিৎকার করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায় না উল্লেখ করে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, সৎসাহস থাকলে নারী কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে কোথায়, কেন তাদের আপত্তি; সেটি নিয়ে তারা কথা বলতে পারে। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ কোনো ছেলের হাতের মোয়া নয় যে কেউ অন্যায়ভাবে হুংকার দেবে আর ভয় পেয়ে পুরো কমিশন বাদ দিয়ে দিতে হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, চরমপন্থী হুমকির মুখেও নারীর অধিকার সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে—রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।
এ ছাড়া ঘৃণা ও হুমকি উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, ‘নারী কমিশনের প্রত্যেক সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাধারণ নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃস্থানীয় নারীদের অশালীন বাক্যে গালমন্দ করা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।’
আরও পড়ুননারীবিষয়ক কমিশন বাতিলসহ সব দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি হেফাজতের৫ ঘণ্টা আগে