মালয়ালাম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নন্দিত অভিনেতা বিষ্ণু প্রসাদ আর নেই। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এর্নাকুলামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন লিভারের অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। 

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেতা বিষ্ণুর লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। এ জন্য অভিনেতার পরিবার ও চিকিৎসক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় গত কয়েকদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। নিবিড় পরিচর্যায় থাকার পরও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। দক্ষিণী এই অভিনেতা মৃত্যুকালে দুই মেয়ে অভিরামি ও অনানিকা রেখে গেছেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে মালয়ালাম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এবং সহকর্মী ও ভক্ত-শুভাকাঙ্খীরা শোক প্রকাশ করেছেন।

অভিনেতা বিষ্ণুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে অভিনেতা কিশোর সত্য সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, প্রিয় সবাই, খুবই দুঃখজনক খবর.

.. বিষ্ণু প্রসাদ মারা গেছেন। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সমবেদনা... প্রার্থনা করছি যে তার পরিবার এই শোক কাটিয়ে উঠার যেন শক্তি পায়। কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে দক্ষিণী এই তারকা ‘প্রসাদ কাশী’, ‘কাই এথুম দুরেথু’, ‘রানওয়ে’, ‘মাম্বাঝাকালাম’, ‘লায়ন’, ‘বেন জনসন’, ‘লোকনাথন আইএএস’, ‘পাঠাকা’ ও ‘মারাঠা নাডু’র মতো মালয়ালাম সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় টেলিভিশন সিরিজেওদেখা গেছে এ অভিনেতাকে। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত চলচ চ ত র প রস দ

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি তারা কংগ্রেসকে জানিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে থাকবে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএম–১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে (এয়ার টু এয়ার) এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়।

আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ইতালির রাজধানী রোমে সংক্ষিপ্ত সফর করেছিলেন তিনি। এটিই ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর।

তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্যচুক্তি করার কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে রিয়াদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ