গাইবান্ধায় সংবাদপত্র বিক্রেতা আনিস মিয়া (৩৭) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধা সদরের বানিয়াজান এলাকার কবির আলম (২৭) ও থানশিনপুর কাচারি গ্রামের রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক পাটানোছা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪০) ও রসুলপুর রাশেদ মণ্ডল (৪২)। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় একই মামলায় আরিফ মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়ার বাসিন্দা।

আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুরের হাজিরহাটে র‍্যাব-১৩-এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহা.

জয়নুল আবেদীন এ তথ্য জানান। পরে র‍্যাবের মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনিস হত্যার বিষয়ে র‍্যাব-১৩–এর একাধিক দল ছায়া তদন্তে নেমে জড়িত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার রাশেদ মণ্ডলের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিস মিয়া গাইবান্ধা শহরে সংবাদপত্র ফেরি করে বিক্রি করতেন। পাশাপাশি বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি অটোরিকশা চালাতেন।

২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গাইবান্ধা শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত যাত্রী বেশে আনিসের অটোরিকশায় ওঠে। জেলা স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার পর তারা আনিসকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন আনিসের স্ত্রী সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দোষ স্বীকারে রাজি চিকিৎসক

‘ফ্রেন্ডস’ তারকা ম্যাথিউ পেরির মৃত্যুর আগে তাঁকে কেটামিন সরবরাহের অভিযোগে অভিযুক্ত ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক সালভাদোর প্লাসেন্সিয়া দোষ স্বীকারে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা। গতকাল সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্লাসেন্সিয়া কেটামিন সরবরাহের চারটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করবেন। এসব অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে দোষ স্বীকার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের বাড়ির সুইমিংপুলে ৫৪ বছর বয়সী তারকার মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্তে পেরির মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাওয়া যায় ‘কেটামিনের তীব্র প্রভাব’। এটি একটি নিয়ন্ত্রিত ওষুধ, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেনা যায় না। কিন্তু অনেকেই এই ওষুধ দিয়ে নেশা করেন। তবে ম্যাথিউ পেরি কী হিসেবে গ্রহণ করতেন, তা সে মুহূর্তে বোঝা যায়নি। হতাশা ও আসক্তির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে এলেও হঠাৎ তাঁর মৃত্যু বিশ্বজুড়ে ভক্তদের স্তব্ধ করে দেয়।

ম্যাথিউ পেরি। এএফপি ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ