গাইবান্ধায় সংবাদপত্র বিক্রেতা আনিস হত্যা মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
Published: 2nd, May 2025 GMT
গাইবান্ধায় সংবাদপত্র বিক্রেতা আনিস মিয়া (৩৭) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধা সদরের বানিয়াজান এলাকার কবির আলম (২৭) ও থানশিনপুর কাচারি গ্রামের রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক পাটানোছা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪০) ও রসুলপুর রাশেদ মণ্ডল (৪২)। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় একই মামলায় আরিফ মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়ার বাসিন্দা।
আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুরের হাজিরহাটে র্যাব-১৩-এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহা.
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনিস হত্যার বিষয়ে র্যাব-১৩–এর একাধিক দল ছায়া তদন্তে নেমে জড়িত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার রাশেদ মণ্ডলের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিস মিয়া গাইবান্ধা শহরে সংবাদপত্র ফেরি করে বিক্রি করতেন। পাশাপাশি বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি অটোরিকশা চালাতেন।
২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গাইবান্ধা শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত যাত্রী বেশে আনিসের অটোরিকশায় ওঠে। জেলা স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার পর তারা আনিসকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন আনিসের স্ত্রী সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ