হিথরো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলেন খালেদা জিয়া
Published: 5th, May 2025 GMT
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহন করা কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
আজ রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়া দেশে ফেরার উদ্দেশে ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসা থেকে বের হন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপি মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডা.
তিনি বলেন, গাড়িতে সামনের আসনে আছেন খালেদা জিয়া। আর পেছনের সিটে আছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
জানা যায়, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ উড়োজাহাজে করে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রওনা করবেন তিনি। আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোঁছানোর কথা রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ মোট ৯ জন আসছেন।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন।
লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার ৩৩ খাল দখলমুক্ত ও সবুজায়নে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ
ঢাকা শহরের ৩৩টি খাল ও লেক দখল ও দূষণ মুক্ত রাখতে এবং খালের দুই পাড়ে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন ও জীববৈচিত্র পুনরুদ্ধারের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সোমবার এসব খাল ও লেকের দুই পাড়ে বৃক্ষরোপন কাজে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ২৯টি খালের পাশাপাশি রাজউকের আওতাধীন লেকগুলোতে এবং ঢাকা দক্ষিণের ৪টি খালের পাড়ে গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে ডিএনসিসির নিয়োগ করা স্বেচ্ছাসেবকরা। খালের দুইপাড়ে গাছ লাগানোর জন্য গাছ সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। নির্ধারিত এলাকার জন্য ডিএনসিসির নির্ধারিত মালী থাকবে যারা বৃক্ষরোপণে সহায়তা করবে। তাদের সাথে কাজ করবে স্থানীয় সেচ্ছাসেবক। এসব স্বেচ্ছাসেবক সোশাল ম্যাপিংসহ পরিকল্পনা ও নকশার মাধ্যমে খালের পাড়ে বিভিন্ন দেশি গাছ হিজল, জারুল লাগাবেন।
ডিএনসিসির সাথে খাল দখল, দূষণ মুক্ত রাখতে এবং খালের দুইপাড়ে গাছ লাগানোর জন্য কাজ করবে যেসব স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান তারা হলো, রিভার অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ, গ্রিন ভয়েস, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার্স, কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন, নগরাবাদ, সিডিসি, আশার আলো, ইয়ুথ মেন্টর, ব্রাইটস, আলোকিত করি, ফিনিস মনডিএল বাংলাদেশ, ইউএনডিপি, লাল সবুজ সোসাইটি, ইয়ং ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক, ইকো টাউন নেটওয়ার্ক গ্লোবাল এবং ও এবি ফাউন্ডেশন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে তাদের সুবিধা অনুযায়ী খালের অংশ বন্টন করে দেওয়া হয়, যাতে তারা ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে খাল দখল, দূষণ মুক্ত রাখতে এবং খালের দুই পাড়ে গাছ লাগানোর কাজে সহায়তা করতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকায় অবস্থিত পুকুরগুলো খুব শিগগির দৃষ্টিনন্দন হবে। ঢাকার জেলা প্রশাসক কিছুদিনের মধ্যে কয়েকটি পুকুর খনন ও পাড় বাঁধাই করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এ বি এম সামসুল আলম প্রমুখ।