বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঢাকা ফেরার সময় যে লোক সমাগম হবে, সেই জটিলতা সামলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেনটেইন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান সোমবার (৬ মে) এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন। সেসময় বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। তখন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেওয়ার অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।”

তিনি বলেন, “মানুষের দুর্ভোগ চিন্তা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুরোধে আমরা সম্মতি দিয়েছি। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে। আমাদের সবগুলো র‌্যাম্প ব্যবহার করে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশা ওঠানামা করতে পারবে। প্রতিবার উঠলে ২০ টাকা করে টোল দিতে হবে।”

ঢাকায় যানজট কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালে।

২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন। যান চলাচল শুরু হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর।

এরপর ২০২৪ সালের ২০ মার্চ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‌্যাম্প খুলে দেওয়া হয়। এ এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।

চালুর পর থেকেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই এবং তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের সময় টোলপ্লাজায় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর কয়েকদিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছিল।

ঢাকা/হাসান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ ১০১ জন আইনজীবী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনা আক্তার লাভলী এবং লাবাবুল বাসার স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি জানানো হয় এই মত।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩) এবং অন্যান্য বিদ্যমান আইন অনুসারে এনসিপির শাপলা প্রতীক বরাদ্দ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭২ সালের অর্ডারের তৃতীয় তফসিল এবং ১৯৭২ সালের বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক তে জাতীয় প্রতীকের নকশা অংকিত আছে। নকশা অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক হচ্ছে লালচে এবং হলুদ রঙের যুগল বৃত্তের ভেতরে লালচে এবং হলুদ রঙে অংকিত পানির ওপর ভাসমান শাপলা ফুল, দু’পাশে দুটি ধানের শীষ, উপরে তিনটি সংযুক্ত পাট পাতা যার ঠিক দুই পাশে দুটি করে চারটি তারকার সন্নিবেশ ও সামষ্টিক রূপ। অর্থাৎ জাতীয় প্রতীকের নকশা এবং রঙ ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল ও বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক দ্বারা সুনির্দিষ্ট। তাছাড়া জাতীয় প্রতীকের শাপলাটি পানিতে ভাসমান কিন্তু এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক হিসেবে চায়নি।

একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতীকে হিসেবে জাতীয় প্রতীকের উপাদান বরাদ্দ দেওয়ার নজির উপস্থাপন করে বিবৃতিতে বলা হয়, ধানের শীষ, শাপলা, পাটপাতা এবং তারকা আলাদা আলাদা করে চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর এই চারের সমষ্টিই হচ্ছে জাতীয় প্রতীক, যা দুই রঙের দুটি বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত। জাতীয় প্রতীকের উপাদানের মধ্যে দুইটি উপাদান ইতোমধ্যে দুইটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দকৃত। সুতরাং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণসাপেক্ষে এনসিপির নিবন্ধিত হবার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রতীকের তালিকায় সংযোজনপূর্বক শাপলা প্রতীকটি এনসিপিকে বরাদ্দ দিবে বলে বিবৃতিদাতা আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ