চিকিৎসা শেষে চার মাস পর দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিসহ সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের আমিরের দেওয়া ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এদিকে তাকে স্বাগত জানাতে গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজার সামনের সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকের হাতে রয়েছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি।

বাসভবনের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়াকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

বাসভবন ফিরোজার প্রবেশ পথে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোথায় অবস্থান নেবেন সে দিকনির্দেশনা আগেই দিয়ে দিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ড। তবে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবে না। হেঁটেও যাওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পর দিন ৮ জানুয়ারি হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সরাসরি দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। ১৭ দিন চিকিৎসার পর বড় ছেলের বাসায় উঠেন। পরবর্তীতে সেখানেই তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে।

সেখানে বিশ্রাম ও চিকিৎসার কারণে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ ডা.

জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং চিকিৎসক ও মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যসহ ১৩ জন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত কর ম ন ব এনপ ব সভবন রহম ন র সদস

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র কাছে নেতা–কর্মীদের ভিড়, কড়া নিরাপত্তা

যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন। পথে পথে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে ‘ফিরোজা’-সংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ‘ফিরোজা’ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ফিরোজা’র প্রবেশপথ গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের সামনে ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। সড়কটির দুই পাশেই কড়া নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আছেন। গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেন না।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের দেশে ফিরে আসা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। তাঁরা দলীয় চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।

‘ফিরোজা’সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসায় গণতন্ত্র আবার পুনরুজ্জীবিত হবে। সে জন্য আমরা উদ্বেলিত।’

এলাকাটিতে অবস্থান করা জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নীলুফার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ম্যাডাম আমাদের মাঝে ফেরত আসছেন। তাঁর এই ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হেঁটে বাসায় ঢুকলেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
  • খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র কাছে নেতা–কর্মীদের ভিড়, কড়া নিরাপত্তা
  • স্লোগানে মুখর বিমানবন্দর থেকে ‘ফিরোজা’
  • দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে ২ পুত্রবধূ
  • খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় নেতা–কর্মীর ঢল
  • খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত ‘ফিরোজা’, বেড়েছে নিরাপত্তা, আসছেন নেতা–কর্মীরা
  • কখন-কোন পথে ফিরছেন খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের জন্য যে নির্দেশনা
  • কখন-কীভাবে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের জন্য যে নির্দেশনা